Advertisement
Advertisement

এয়ারস্ট্রাইকের পর থমথমে উপত্যকা, উড়ানের শব্দে ভয়ে কাঁটা বাসিন্দারা

কার্যত স্তব্ধ কাশ্মীর উপত্যকা।

Tension mounts in Kashmir
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 28, 2019 5:29 pm
  • Updated:February 28, 2019 5:29 pm

সোম রায়: এ যেন ভয়াবহ ঝড় ওঠার আগের মুহূর্ত। যুদ্ধের আশঙ্কায় নিস্তব্ধ-থমথমে কাশ্মীরের সীমান্ত শহর। মাঝেমধ্যেই সেই নীরবতা ভেঙে খান খান করে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর ভারী বুটের শব্দ। সাঁজোয়া গাড়ির টহল জানিয়ে দিচ্ছে শিয়রে হাজির যুদ্ধ। কারণ, প্রতিটি গাড়িই গোলা-বারুদে ঠাসা। সীমান্তে সার দিয়ে দাঁড় করানো রয়েছে বহুচর্চিত বোফর্স কামান।

[পাকিস্তানের কোনও শর্ত মানবে না ভারত, অবিলম্বে অভিনন্দনের মুক্তির দাবি নয়াদিল্লির]

ভূস্বর্গের জনপদে আতঙ্ক এতটাই যে আকাশে বিমানের গোঁ-ও-ও শব্দ শুনলেই দিকশূন্য হয়ে বাসিন্দারা ছুটছেন বাঙ্কারের দিকে। উপর দিকে না তাকিয়ে মাথা নিচু করে বাচ্চা-বুড়ো সবাই দে ছুট। প্রতি মুহূর্তে ভয়, এই বুঝি পাকিস্তানি এফ-১৬ থেকে পরপর নেমে এল হাজার হাজার কেজি বিস্ফোরক ভরতি বোমা। যুদ্ধের ভয় কাশ্মীরিদের এতটাই গ্রাস করে রেখেছে যে ভারতীয় বাণিজ্যিক বিমান না বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান, আকাশের দিকে তাকিয়ে তা দেখার সময়ও তাঁরা পাচ্ছেন না। যদিও প্রশাসন বা সেনার তরফে এখনও যুদ্ধের পরিস্থিতি জানিয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। জারি রয়েছে শুধু ‘হাই অ্যালার্ট’।

Advertisement

[কারগিলে যুদ্ধবন্দি বায়ুসেনার দুই পাইলট নচিকেতা ও অজয় আহুজার কী পরিণতি হয়েছিল?]

হুরিয়তের ডাকা দু’দিনের বন্‌ধে কার্যত স্তব্ধ কাশ্মীর উপত্যকা। পায়ে হাঁটা ছাড়া গতি নেই। বৃহস্পতিবার সকালে হেঁটেই পরিস্থিতি দেখতে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু কথা বলব কার সঙ্গে? রাস্তায় তো লোকই নেই। হাঁটতে হাঁটতে গেলাম লালচক এলাকায়। এই জায়গার সঙ্গে কলকাতার নিউমার্কেট এলাকার তুলনা করা যায়। কিন্তু আজ এখানেও লোক নেই। দোকানপাটও সব বন্ধ। দু-চারজনকে দেখলাম তাঁদেরও চোখে মুখে আতঙ্ক। জানালেন, যুদ্ধ বাধলে তাঁদের বেঁচে থাকাই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। গতকাল পাক প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার প্রস্তাবে আশার আলো দেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু আজ ফের পুঞ্চ, কেজি সেক্টরে পাক সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি আইন লঙ্ঘন করায় ফের শুরু হয়েছে যুদ্ধ প্রস্তুতি। এরই মধ্যে ফের টহল দিতে চলে এল সেনাবাহিনী। রুটিনমাফিক তল্লাশি চালানোর পর রাস্তায় জটলা করা যাবে না বলে কড়া ভাষায় জানিয়ে দিল। এ যেন অঘোষিত জরুরি পরিস্থিতি জারি হয়েছে। অগত্যা পায়ে হেঁটেই হোটেলে ফিরলাম। এখানেও দেখি, মালিক থেকে কর্মচারী সকলেই টেলিভিশনের সামনে বসে রয়েছেন। নজর দিল্লির বৈঠকে। এখন ভরসা মন্ত্রিসভার বৈঠক। কারণ দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলে যে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দুই কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত তাঁরা।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ