Advertisement
Advertisement

‘এক হয়ে লড়ব, ঐক্যবদ্ধ হয়ে জিতব’, দলীয় কর্মীদের বার্তা মোদির

প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিকে কটাক্ষ বিরোধীদের।

India Will Fight and win As One
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:February 28, 2019 4:00 pm
  • Updated:February 28, 2019 4:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করে এক হয়েই জিতবে ভারত। বৃহস্পতিবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও কনফারেন্স করে প্রায় এক কোটি বিজেপি নেতা-কর্মীকে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে দলীয় কর্মীদের নিয়ে এই ভিডিও কনফারেন্সের সমালোচনা করেছিল বিরোধী দলগুলি। কিন্তু, তাদের গুরুত্ব না দিয়েই আজ পোলিং বুথ স্তরের দলীয় কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা বললেন মোদি।

আমার বুথ, সবচেয়ে মজবুত নামে এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “যখন শত্রুরা সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। তখন জানবেন ভারতের উন্নতিকে আটকানোর জন্যই তারা এই কাজ করছে। এইরকম সময়ই আমাদের সুনিশ্চিত করতে হবে যে আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের জওয়ানদের পাশে এক হয়ে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করতে হবে যে আমরা শক্তিশালী। যা কিছুই ঘটুক না কেন আমাদের উন্নতি ও কাজ কোনওভাবেই আটকে যাতে না থাকে তাও সুনিশ্চিত করতে হবে।”

Advertisement

[স্যাবার জেটের মতোই পরিণতি পাক হানাদার বিমানের, মিলল ধ্বংসাবশেষ  ] 

Advertisement

আগামী মে মাসে লোকসভা নির্বাচনের আগে বুথ স্তরের বিজেপি নেতা-কর্মীদের উৎসাহিত করতেই এই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, প্রথমে পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার ঘটনা পরে পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়। গতকাল সকালে ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ভারতে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের কয়েকটি এফ- ১৬ জেট বিমান। আর তাদের তাড়া করতে গিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে আটক হন ভারতীয় বায়ুসেনা উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। এই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সকে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা বলে অভিযোগ করছে বিরোধীরা। পাকিস্তানের সঙ্গে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির সমাধানের চেষ্টা না করে ভোটবাক্সের দিকে তাকিয়েই বিজেপির এই অপচেষ্টা বলে সমালোচনা করছে। ঠিক তখনই দলের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের মুখোমুখি হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের সেনার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

[যুদ্ধ আসন্ন! তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী]

যদিও প্রথম থেকেই এই ভিডিও কনফারেন্সের প্রবল সমালোচনা করছে কংগ্রেস। গতকাল কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিতর্কিত মন্তব্য সেই সমালোচনায় যেন আহুতি দেয়। গতকাল ইয়েদুরাপ্পার বলেছিলেন, মঙ্গলবার পাকিস্তানের মাটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে জইশ ঘাঁটি ধ্বংস করার ফলে দেশব্যাপী মোদির পক্ষে একটা হওয়া তৈরি হয়েছে। এই হাওয়াই কর্ণাটকের ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপিকে ২২টিতে জিততে সাহায্য করবে। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়, পাকিস্তানের সঙ্গে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির সমাধান না করে তা ভোটবাক্সে ফেলানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। লোকসভা সিট গুনছে। যেখানে দেশের স্বার্থে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বাতিল করা হচ্ছে। সেখানে বায়ুসেনার পাইলটকে ফিরিয়ে আনার বদলে দলীয় কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী।

[পাকিস্তানের কোনও শর্ত মানবে না ভারত, অভিনন্দনকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি নয়াদিল্লির]

নিজের অনশন তুলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও তাঁর দলীয় কর্মসূচি স্থগিত রাখার আবেদন করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টুইট করেছিলেন, এই সময়ে আমাদের সব শক্তি ও সময় পাকিস্তানে আটক থাকা বায়ুসেনা জওয়ানকে ফিরিয়ে আনতে ব্যবহার করা উচিত। মায়াবতী বলেন, যখন যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তখন একজন দৃঢ়চেতা নেতার মতো দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু, তার বদলে দেশের সেন্টিমেন্টকে গুরুত্ব না দিয়ে তিনি দলের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ