সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যখন ভূমিষ্ঠ হল, তখন তার ওজন মাত্র ৬৫০ গ্রাম। একটা সাধারণ মোবাইলের ওজনের সমান। শিশুটির বাঁচার আশা একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছিল তার পরিবার। কিন্তু ‘মিরাকল’ ঘটালেন চিকিৎসকরা। তিন মাস আগেই জন্মে যাওয়া শিশুকে জীবনদান করে নজির গড়লেন তেলেঙ্গানার ডাক্তার।
শিশুটিকে সুস্থ করে তোলার কৃতিত্ব ডঃ দামেরা ইয়াদাইরাহর। এখন ঋশিতার বয়স পাঁচ মাস। ওজন বেড়ে হয়েছে আড়াই কেজি। দামেরা বলছেন, “সরকারি হাসপাতালের অনুন্নত পরিকাঠামো সত্ত্বেও অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটানো সম্ভব হয়েছে। এদেশে এটা রেকর্ড।”
শিশুর অবস্থা দেখে প্রথমে তাকে ভর্তিই করতে রাজি হচ্ছিল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ সাধারণত এ ধরনের শিশুদের বাঁচার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না বললেই চলে। হাসপাতাল কর্মীদের হাবভাব দেখে ঋশিতার বাবা-মাও ধরে নিয়েছিলেন, লড়াই করে জেতা সম্ভব হবে না। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন দামেরা। ঋশিতাকে বাঁচানোর আশ্বাস দেন। ক্যাঙারু মাদার কেয়ার-সহ বিশেষ ধরনের চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুকে সু্স্থ স্বাভাবিক করে তোলা হয়েছে। সে এখন আর পাঁচজন বাচ্চার মতোই দেখতে ও শুনতে পায়। বাড়ি যাওয়ার জন্য তৈরি সে।
চিকিৎসকের প্রতি কৃতজ্ঞ ঋশিতার মা মমতা। দামেরার মধ্যে যেন দেবতারই দর্শন পেয়েছেন তিনি। বলছেন, “ডাক্তার বলেছিলেন, আইনস্টাইন, পিকাসো, আম্বেদকরের মতোও বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিরা সময়ের আগেই জন্ম নিয়েছিলেন। আমার মেয়ের ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছে। সেও ওঁদের মতো বড় হতে পারবে। একথা শুনেই মনে জোর আসে।”