Advertisement
Advertisement

আট বুলেটের ক্ষত বুকে নিয়েও কাশ্মীরে শান্তির প্রার্থনায় খুরশিদ

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালের বিছানা থেকে এখনও তেমন নড়তে চড়তে পারেন না তিনি৷ মেরুদণ্ডের নিচের অংশ এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে শরীরের নিচের অংশে কোনও সাড়া নেই৷ আদৌ তিনি সুস্থ অবস্থায় ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দিহান ডাক্তাররাও৷ তাঁদেরও আশঙ্কা৷ হয়তো পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েই বাকি জীবনটা কাটাতে হবে কেন৷ কিন্তু কে এই ব্যক্তি, কেন তাঁর এই […]

 The Story of a CRPF constable who was shot 8 times
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 30, 2016 6:39 pm
  • Updated:August 30, 2016 6:39 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালের বিছানা থেকে এখনও তেমন নড়তে চড়তে পারেন না তিনি৷ মেরুদণ্ডের নিচের অংশ এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে শরীরের নিচের অংশে কোনও সাড়া নেই৷ আদৌ তিনি সুস্থ অবস্থায় ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দিহান ডাক্তাররাও৷ তাঁদেরও আশঙ্কা৷ হয়তো পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েই বাকি জীবনটা কাটাতে হবে কেন৷ কিন্তু কে এই ব্যক্তি, কেন তাঁর এই অবস্থা? তিনি খুরশিদ আহমেদ৷ কাশ্মীরে বিছিন্নতাবাদীদের হামলার বিরুদ্ধে লড়াই করেই এখন জীবনের এই পরিস্থিতির মুখোমুখি তিনি৷

আজাদ কাশ্মীরের দাবি নিয়ে যখন এক শ্রেণির কাশ্মীরিরা উত্তাল, যখন কাগজে–কলমে হাজারো সমালোচনা, তখন বাস্তবের ছবিটা যে কত মর্মান্তিক তাই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এই ঘটনা৷ কুপওয়াড়ায় জঙ্গিহানা যখন গোটা দেশের কাছে নিছকই একটা তথ্য, তখন তার ভয়াবহতা যে কত, তা হয়তো বাকি দেশ আন্দাজও করতে পারে না৷ পারেন এঁরাই, যাঁদেরকে তপ্ত সীসার মুখে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে হয়৷ সেদিন ফায়ারিং রেঞ্জ থেকে 37B107F600000578-3764107-image-a-4_1472505811082 (1)প্র্যাকটিস সেরে ফিরছিলেন সেনারা৷ আচমকাই বাসের উপর হামলা৷ বিছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠনের সেই হামলায় প্রথমে হকচকিয়ে গেলেও, রুখে দাঁড়ায় ভারতীয় সেনারা৷ শুরু হয় গুলিবিনিময়৷ সেই দলে ছিলেন সিআরপিএফের হেড কনস্টেবল খুরশিদও৷ আচমকা আক্রমণের বুকে আটটি গুলি লেগেছিল তাঁর৷ কাঁধ-হাত প্রায় ঝাঁঝরা৷ তাও থেমে থাকেননি৷ দেশের অখণ্ডতা নষ্ট হতে দেননি কোনওভাবেই৷ রুখে দাঁড়িয়ে জঙ্গিহানা প্রতিহত করেছিলেন৷

Advertisement

এখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কায়ক্লেশে দিন গুজরান৷ কিন্তু এতটুকু আক্ষেপ নেই৷ হয়তো পক্ষাঘাতে পঙ্গু হয়েই বাকি জীবনটা কাটাতে হবে, তবু তাঁর বিশ্বাস, ঈশ্বর যখন বাঁচিয়ে রেখেছেন তখন নিশ্চিতই কোনও এক উদ্দেশ্যেই বাঁচিয়ে রেখেছেন৷ সুস্থ হয়ে আবার সেনাতে যোগ দিতে চান তিনি৷

Advertisement

আজাদি যখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শৌখিন বিপ্লবের এক কথামাত্র, তখন এই সেনারাই জানেন আসলে তার মূল্য কতখানি৷ নেতারা আলোচনা করেন, ভিনদেশের কূটনীতিকরা কাঁটাতারের রাজনীতিতে বিছিন্নতাবাদে উসকানি দেন, কিন্তু বিনিময় চোকাতে হয় এই সেনাদেরই৷ আট বুলেটের ক্ষত বুকে নিয়েও তাই শান্তির প্রার্থনা করে চলেছেন আধাসেনা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ