সুব্রত বিশ্বাস: রাতের ট্রেনে টিকিট পরীক্ষকরা দায়িত্ব পালন করছেন কি না, তা দেখতে এবার রাতেই সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন রেলের কর্তারা। প্রথম অভিযান চালিয়ে সাদার্ন-সেন্ট্রাল রেলের কর্তার চোখে পড়ল, ২৯ জন টিকিট পরীক্ষকই রাতে অঘোরে ঘুমোচ্ছেন৷
[আয়কর দপ্তরকে বেনামী সম্পত্তির খবর দিতে পারলেই ৫ কোটি টাকা ইনাম!]
সাদার্ন সেন্ট্রাল রেলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার এম জি শেখরণ সম্প্রতি কাজিপেল-সেকেন্দ্রাবাদ, গুন্টুর-সেকেন্দ্রাবাদ শাখার রাতের কয়েকটি ট্রেনে ঘুমন্ত অবস্থায় ১৭ জন টিকিট পরীক্ষককে চিহ্নিত করেন। তার আগে একই ডিভিশনে এমন ভাবেই ঘুমিয়ে ধরা পড়েন ১২ জন টিকিট পরীক্ষক। এছাড়া যাত্রীর থেকে টাকা আদায়-সহ নানা বেআইনি কাজ করতেও স্বচক্ষে দেখেন তিনি। যাত্রীদের সার্বিক দায়িত্ব যাঁদের হাতে, তাঁরাই যদি রাতে নিশ্চিন্ত ঘুমাবেন, তবে যাত্রী সমস্যা কে দেখবে? এমনই প্রশ্ন তুলে চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার এম জি শেখরণ সেকেন্দ্রাবাদের মুখ্য টিকিট পরীক্ষককে অভিযুক্ত টিকিট পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন৷
[একদিনেই অকেজো সরকারি পোর্টাল, রমরমিয়ে চলছে চাইল্ড পর্নগ্রাফি]
এমনিতেই এক্সপ্রেস ট্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে যাত্রীদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে৷ চুরি থেকে শুরু করে পরিষেবা নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের৷ শুক্রবার ডাউন যশবন্তপুর-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেসে পরপর দু’টি কামরায় চুরির ঘটনা ঘটে৷ এস ৭ ও এস ৯ কামরায় পরপর যাত্রীর লাগেজ চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ জানা গিয়েছে, যশবন্তপুর থেকে ট্রেন হাওড়া দিকে রওনা হওয়ার পরেই ঘটেছে বিপত্তি৷ যাত্রীদের অভিযোগ, ওই ঘটনার পর থেকে রেলের নিরাপত্তারক্ষীদের আর দেখা যায়নি৷
[‘দাদাগিরি’ বন্ধ করুন! বিজেপিকে কড়া বার্তা শরিকদের]