Advertisement
Advertisement
উত্তরপ্রদেশ

বিক্ষোভে দমছেন না যোগী! দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে CAA’র কাজ শুরু উত্তরপ্রদেশে

বিক্ষোভ উপেক্ষা করেই দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে CAA-র কাজ শুরু করল উত্তরপ্রদেশ।

The UP government has ordered identification of migrants
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 5, 2020 7:00 pm
  • Updated:January 5, 2020 7:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বকলমে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের একটি তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের অধীনে এদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। উত্তরপ্রদেশই দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে সিএএ-র প্রক্রিয়া শুরু করল। অথচ, এই রাজ্যেই সিএএ-র প্রতিবাদে বিক্ষোভের তীব্রতা ছিল সবচেয়ে বেশি। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে ২৬ জনের মৃত্যুও পর্যন্ত হয়েছে।

caa
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব জেলাশাসককে শরণার্থীদের একটি তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন পড়শি দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ. জৈন এবং পারসিদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের। এই তালিকায় যাঁদের নাম থাকবে তাঁরা প্রত্যেকেই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। উত্তরপ্রদেশ সরকারের ধারণা, আফগানিস্তান থেকে বেশি শরণার্থী না এলেও উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বহু বাসিন্দা বসবাস করেন। এ প্রসঙ্গে, প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র বৈধ শরণার্থীরাই যাতে এই তালিকায় সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করতে। যোগী সরকারের ধারণা, লখনউ, হাপুর, রামপুর, শাহজাহানপুর, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শরণার্থী বসবাস করে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গুজরাটের সরকারি হাসপাতালে শিশুদের মৃত্যু মিছিল, প্রশ্ন এড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি]

এদিকে, শরণার্থী তালিকার পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারীদেরও একটি তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সোজা ভাষায় বলতে গেলে, রাজ্যে বসবাসকারী বিদেশি মুসলিমদেরও একটি তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজিপি সমস্ত জেলা পুলিশ প্রধানকে চিঠি দিয়ে এই নির্দেশ জারি করেছেন। রাজ্যের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে। পুলিশের সমস্ত স্তরের আধিকারিকদের প্রান্তিক জেলার সমস্ত অঞ্চল, সীমান্তবর্তী এলাকায় ভাল করে খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে এই দুটি তালিকা সুষ্ঠুভাবে তৈরি করা যায়। শরণার্থীদের তালিকা আপাতত উত্তরপ্রদেশ সরকারের হাতে থাকবে। আর অনুপ্রবেশকারীদের তালিকাটি তুলে দেওয়া হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাতে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ