সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় মহিলা ঢুকলেন এবার সবরীমালা মন্দিরে। এদিকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলছেন,সুপ্রিম কোর্টের রায়ের নির্দেশ মেনেই কাজ করেছে রাজ্য সরকার। বুধবার দুই মহিলার মন্দিরে প্রবেশ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। কিন্তু তাতেও থামেনি সমস্যা। শুক্রবার মন্দিরে প্রবেশ করলেন এক শ্রীলঙ্কান মহিলা। ভিডিওতে দেখা গেল, তিনি মন্দিরে গিয়ে পুজোও করেছেন।
সবরীমালায় মন্দিরে ঢোকার আগে শ্রীলঙ্কান মহিলা শশীকলাকে আটকায় পুলিশ। পরে যদিও তাঁকে পুলিশ বাধা দেয়নি। ৪৬ বছরের এই মহিলার ছবি মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, মাথানত করে প্রার্থনা করছেন তিনি। শশীকলার আগে মন্দিরে প্রবেশ করেছেন আরও দুই মহিলা, বিন্দু ও কনকদুর্গা। এদিন মন্দিরে যাওয়ার আগে নিজের মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে যান। তাঁর দাবি, মন্দিরের ভিতরে কোনও বাধা পাননি তিনি।
[স্মিতা প্রকাশের পাশে থেকে রাহুলের মন্তব্যের প্রতিবাদে এডিটর্স গিল্ড]
গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট সবরীমালায় মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে রায় দেয়। তারপর থেকেই মন্দিরে ঢোকার আয়োজন শুরু হয়। বুধবার প্রশাসনের মদতে দুই মহিলা আয়াপ্পা স্বামীর মন্দিরে ঢুকে ইতিহাস তৈরি করেন। এই খবর জানাজানি হতেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে কেরলের। আয়াপ্পা স্বামীর ভক্তরা দুই মহিলার প্রবেশ নিয়ে খেপে যান। সবরীমালা কর্মসমিতি ও অন্তঃরাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদ বনধ ঘোষণা করে। সমর্থন করে বিজেপিও। গোটা রাজ্যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। পাথর দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি সামলাতে রাস্তায় পুলিশ নামে। গ্রেপ্তার করা হয় ৭৫০ জনকে। গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারের নিন্দা করেছে কংগ্রেসও। তাঁরা ব্ল্যাক ডে ঘোষণা করে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতেই দুই মহিলাকে মন্দিরে প্রবেশ করানো হয়েছে।
[সবরীমালা বিক্ষোভে আক্রান্ত হয়েও কর্তব্যে অনড় মহিলা চিত্রসাংবাদিক, ভাইরাল ছবি]
তবে পুরো ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত কেরল। গতকাল পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে কর্মসমিতির সদস্য চন্দরনের। তার প্রতিবাদে বিজেপি ও আরএসএস কর্মীরা মিছিল করেছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই কর্মীর।
Pandalam: #Sabarimala Karma Samithi activists along with BJP and RSS workers take out a march against the death of Karma Samithi activist Chandran allegedly during clashes with Police. CM had said his death was due to a heart attack. #Kerala pic.twitter.com/aSoggkLF9F
— ANI (@ANI) January 4, 2019