Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা

বিশ্বজুড়ে মহামারীর মধ্যে এখনও করোনামুক্ত দেশের এই জায়গাটি, কীভাবে সম্ভব হল?

এই পদক্ষেপগুলিতেই বাজিমাত।

This is how Lakshadweep managed to be India’s only territory without coronavirus
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:July 18, 2020 2:19 pm
  • Updated:July 18, 2020 5:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রতিটা অংশে থাবা বসিয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। যতদিন গিয়েছে, ততই প্রকট হয়ে উঠছে তার চেহারা। শুরুর দিকে সিকিম এই মারণ কামড় থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সফল হলেও শেষমেশ নতিস্বীকার করতে হয়। করোনা কবলে মৃত্যুর সাক্ষী থাকতে হয়েছে আরেকটি ‘সুরক্ষিত’ রাজ্য গোয়াকেও। কিন্তু এসবের মধ্যেও ভারতের একটি স্থান এখন ভাইরাস মুক্ত। গোটা বিশ্ব যখন এর সঙ্গে যুঝতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন নিজেদের করোনা থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদে রেখেছে একটি জায়গা। তা হল লাক্ষাদ্বীপ। কিন্তু কীভাবে এমনটা সম্ভব হল? এমন কী পদক্ষেপে নিজেদের একশো শতাংশ ভাইরাসমুক্ত রাখতে সফল হল এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি?

ভাবতে অবাক লাগে, যেখানে ইতিমধ্যেই গোটা দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ লক্ষের গণ্ডি টপকে গিয়েছে সেখানে, একটিও কেস নেই লাক্ষাদ্বীপে (Lakshadweep)। ছোট্ট এই দ্বীপে প্রায় সাড়ে ৬৪ হাজার মানুষের বাস। এখনও পর্যন্ত সেখানে করোনা উপসর্গ আছে, এমন ৬১ জনের পরীক্ষা হয়েছে। প্রত্যেকের রিপোর্টই নেগেটিভ আসে। বেশ কিছু আগাম পদক্ষেপের জন্যই এই মারণ ভাইরাস রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এমনকী পরিস্থিতি সেখানে এতটাই স্বাভাবিক যে, সেখানকার স্কুল-কলেজ খুলতে চেয়ে কেন্দ্রকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। গোটা দেশ জানতে চাইছে করোনাকে হারানোর সিক্রেটটা কী?

Advertisement

[আরও পড়ুন: জায়গার অভাব, জুড়ে দেওয়া হচ্ছে প্রধান বিচারপতির দিল্লির বাসভবন ও কার্যালয়]

প্রথমেই অন্যান্য রাজ্য কিংবা দেশ থেকে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মহামারীর একেবারে গোড়া থেকেই বিমান যাত্রার আগে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এবিষয়ে ফেব্রুয়ারি থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছিল। পর্যটকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, স্পেশ্যাল পারমিট ছাড়া লাক্ষাদ্বীপে প্রবেশ করা যাবে না। তাই কোনওভাবেই সংক্রমণ ছড়াতে পারেনি।

Advertisement

আসলে লাক্ষাদ্বীপের চিকিৎসার পরিকাঠামো অত্যন্ত নিম্নমানের। গোটা দ্বীপে হাসপাতালের সংখ্যা মাত্র তিন। তাই প্রশাসন ভালই জানত, সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। আর সেই কারণেই অন্যভাবে কোভিড রোখার রাস্তা বের করে তারা। সামান্য উপসর্গ দেখা গেলেই রোগীদের টেস্ট করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইরে থাকার মেয়াদও সেখানে বেশি রাখা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে এগিয়ে থেকেও পিছু হঠল কেরল, গোষ্ঠী সংক্রমণের ঘোষণা বিজয়নের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ