সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষক বাবা গুরমিত রাম রহিমের ২০ বছরের জেলের সাজা ঘোষণা হতেই মুখ খুললেন যোগগুরু বাবা রামদেব। তাঁর মতে, ডেরা সাচা সওদার প্রধানের শাস্তি ঘোষণা প্রমাণ করে দিল যে, আইনের হাত থেকে কেউ পার পায় না। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানান, এমন ঘটনা দৃষ্টান্ত তৈরি করবে যে কেউ যতই ক্ষমতাবান হোক না কেন আইনের হাত থেকে পালানোর রাস্তা নেই।
[রাম রহিম গারদে, কী হবে ‘ধর্মগুরু’ রামপালের?]
স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিমের পর্দাফাঁস হতেই দেশ জুড়ে বিভিন্ন ধর্মগুরুর প্রতি মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। স্বঘোষিত বাবাদের সব জারিজুরি প্রায় শেষ বলা চলে। রামদেবের মতে, রাম রহিমের মতো ভণ্ডদের জন্যই বাকিরাও কলঙ্কিত হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘ধর্মের নামে অসাধু কারবার, দুর্নীতি, দেদার যৌনচার বরদাস্ত করা হবে না। বিচারপ্রক্রিয়ায় দেরি হতে পারে কিন্তু তা বন্ধ হবে না কোনওমতেই। দেশের আইনব্যবস্থ এখন এতটাই শক্তিশালী যে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরাও এবার অপরাধ করার আগে দু’বার ভাববে। অপরাধ করলে তার সাজা পেতেই হবে।’
[ভণ্ড বাবার চক্রান্ত ফাঁস, হিংসা ছড়াতে নগদ ৩৮ লক্ষ টাকা ইনাম]
প্রসঙ্গত, সোমবারই সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক জগদীপ সিং রাম রহিম সিংকে দু’টি পৃথক ধর্ষণের মামলায় ১০ বছর করে মোটা ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের শাস্তি দেন। ৫০ বছরের ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরু তারপর এজলাসের মধ্যেই বিস্তর নাটক করেন। কান্নায় ভেঙে পড়ে, মাটিতে বসে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে কারাদণ্ডের সাজা তো দেওয়াই হয়, পাশাপাশি দু’টি মামলায় নির্যাতিতাদের মোট ৩০,২০,০০০ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তা অমান্য করলে সাজার মেয়াদ বাড়তে পারে।