মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: কাশ্মীরে (Kashmir) ফের তুমুল গুলির লড়াই। যৌথবাহিনীর গুলিতে ত্রালে নিকেশ হল তিন জঙ্গি (Terrorist)। বিপুল আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। এদিকে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগের বিজবেহরা (Bijbehara) এলাকায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় শহিদ হয়েছেন এক সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান। প্রাণ গিয়েছে স্থানীয় এক কিশোরেরও। সবমিলিয়ে শুক্রবারও উত্তপ্ত ভূস্বর্গের বিভিন্নপ্রান্ত।
চলতি বছর উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। গত ছয় মাসে শতাধিক জঙ্গি খতম হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে হিজবুল মুজাহিদিন, জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার কুখ্যাত কম্যান্ডাররা। হিজবুলের মোস্ট ওয়ান্টেড রিয়াজ নাইকু এবং জইশের কুখ্যাত ফৌজি ভাইও নিকেশ হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের আনাচেকানাচে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। শহিদ হয়েছেন বেশ কয়েকজন সেনা জওয়ান। তবে বিভিন্ন অভিযানে ব্যাপক ভাবে সাফল্যও পেয়েছে সেনাবাহিনী।
[আরও পড়ুন : ‘করোনা মোকাবিলায় আমেরিকার থেকেও ভাল কাজ করেছে উত্তরপ্রদেশ’, মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর]
গোপন সূত্রে নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে খবর ছিল, ত্রালের চিওয়া উলার এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী। এই খবরের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। যৌথবাহিনী সূত্রে খবর, তল্লাশি চলাকালীন তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় জওয়ানরাও। রাতে ঘন অন্ধকারে গুলির লড়াই বন্ধ ছিল। শুক্রবার সকাল থেকে ফের অভিযান শুরু হয়। তখনই গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। পরে খতম হয় আরও দুই জঙ্গি। তিনটি দেহই উদ্ধার হয়েছে। তাদের পরিচয় এখনও অজানা।
[আরও পড়ুন : ‘করোনিল’ বানিয়ে কোনও আইন ভাঙেনি পতঞ্জলি, বিতর্কের মাঝেই দাবি সংস্থার]
অন্যদিকে, দক্ষিণ কাশ্মীরের বিজবেহরা এলাকায় জাতীয় সড়কে টহলদারি চলাকালীন সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর হামলা চালায় এক সন্ত্রাসবাদী। জানা গিয়েছে, বাইকে চেপে এসে জওয়ানদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় এক জঙ্গি। গুলিতে গুরুতর জখম হন এক CRPF জওয়ান। ঘায়েল হয় এক কিশোরও। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।