Advertisement
Advertisement
তৃণমূল কংগ্রেস

ঝাড়খণ্ডের ফলাফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান তৃণমূল, বলছে রাজনৈতিক মহল

হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হলে সরাসরি তিনটি সুবিধা পাবেন মমতা।

TMC gets advantage over BJP after poll debacle in Jharkhand
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 24, 2019 3:19 pm
  • Updated:December 24, 2019 3:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে বিজেপি শাসনের অবসান। কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোট ক্ষমতায়। সেই বিরোধী ঐক্যে মমতা নেই। বরং, তিনি আলাদাভাবে ঝাড়খণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী দিয়েছিলেন। সবকটি আসনেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ভোট জুটেছে মোটে ০.২৯ শতাংশ। অথচ রাজনৈতিক মহল বলছে পড়শি রাজ্যের এই ফলাফলে সবচেয়ে লাভবান তৃণমূল। স্বভাবতই খুশি তৃণমূল নেত্রী।


কিন্তু, কীসের এত ফায়দা? অঙ্কটা খুব সহজ। ঝাড়খণ্ড বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য হওয়ায়, সেরাজ্যের নির্বাচনের পুরোদস্তুর প্রভাব এরাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে পড়ে। গত লোকসভা নির্বাচনেও দেখা গিয়েছে ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী অধিকাংশ এলাকায় দুর্দান্ত ফলাফল করেছে বিজেপি। এবার, সেরাজ্যে গেরুয়া সরকারের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে, এরাজ্যের ঝাড়খণ্ড লাগোয়া জেলাগুলিতে বিজেপির প্রভাব যে কমবে তা বলাই বাহুল্য। তাছাড়া, ঝাড়খণ্ডে তৃণমূলের ‘বন্ধু’ দল ক্ষমতায় থাকলে, একুশের নির্বাচনে তাঁরা মমতার হয়ে প্রচারও করতে পারে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফিকে হচ্ছে ম্যাজিক! মোদি-শাহর প্রচার করা বেশিরভাগ আসনেই হেরেছে বিজেপি ]

দ্বিতীয়ত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বারবার অভিযোগ করেন, এরাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে হোক বা রাজ্যের অন্যপ্রান্তের যে কোনও জনসভা। সব জায়গাতেই ঝাড়খণ্ড থেকে লোক ঢোকায় বিজেপি। এমনকী, বসিরহাটে সাম্প্রদায়িক অশান্তির জন্যও ‘বহিরাগত’দেরই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়খণ্ডে বিজেপি শাসনের অবসান হওয়ায় সেই ‘বহিরাগত’দের উৎপাত বন্ধ হবে।

hemant-soren
তৃতীয়ত, রাজ্যে মিছিল-জনসভা করতে অনেক সময়ই প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ করেছে বিজেপি। আবার, অসহযোগিতা সত্ত্বেও ঝাড়খণ্ড সরকারের মদতে রাজ্যে সফলভাবে সেসব জনসভার আয়োজনও করেছে তাঁরা। কখনও, ঝাড়খণ্ডে এসে নেমেছে প্রধানমন্ত্রীর বিমান, আবার কখনও রাজ্যে বাস না মেলায়, ঝাড়খণ্ড থেকে আনা হয়েছে বাস। এবার সেইসব সুবিধাগুলোও পাবে না গেরুয়া শিবির।

[আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইন বা এনআরসি নয়! ঝাড়খণ্ডে বিজেপির হারের কারণ স্থানীয় ইস্যু আর অন্তর্দ্বন্দ্ব]

তাই সার্বিকভাবে দেখতে গেলে ঝাড়খণ্ডে বিজেপির পতন সোনায়-সোহাগা তৃণমূলের জন্য। তাছাড়া, সার্বিকভাবে বিজেপি যত দুর্বল হবে তৃণমূলের তো ততটাই ফায়দা। গেরুয়া শিবির যে একের পর এক রাজ্যে ক্ষমতা হারাচ্ছে, তাতে সার্বিকভাবেও এরাজ্যের উপর প্রভাব পড়বে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement