Advertisement
Advertisement

Breaking News

নোট সংকটে যৌনপেশাতেই ফিরতে হচ্ছে বৃহন্নলাদের

নোট বাতিলের সংকটে যেন বেশ খানিকটা অন্ধকারেই যেন বৃহন্নলারা৷

 Transgender community is back to sex work due to Demonetisation
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 30, 2016 5:09 pm
  • Updated:November 30, 2016 5:09 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে নগদ টাকা নেই৷ তাই রাস্তায় তাঁদের প্রতি আর কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে না৷ শিশু জন্মের পর বাড়িতে গিয়ে নাচানোর যে প্রথা, তাও প্রায় বন্ধ৷ বিয়েবাড়িতেও কখনও সখনও দেখা যেত তাঁদের৷ কিন্তু সে দরজাও এখন আর খোলা নেই৷ সব রাস্তা বন্ধ দেখে অবশেষে যৌনপেশাতেই ফেরার সিদ্ধান্ত  নিচ্ছেন দেশের বেশিরভাগ বৃহন্নলারা৷

নোট বাতিলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির নানা নমুনা উঠে আসছে৷ তবে সে সবের মধ্যে অনেকটাই অবহেলিত এঁদের কথা৷ কিন্তু বাস্তব বড় রূঢ়৷ আর তার আঘাত সইতে হচ্ছে এঁদেরকেই৷ যে পেশাকে এড়িয়ে সসম্মানে বাঁচার রাস্তা এককালে বেছে নিয়েছিলেন এঁরা, সেখানে ফেরা ছাড়াই আপাতত যেন আর কোনও উপায় নেই৷

Advertisement

বৃহন্নলাদের সচেতন ও মূলস্রোতে ফেরানোর জন্য যে সংগঠনগুলি কাজ করছে তারাই জানাচ্ছে এ পরিণতির কথা৷ আইনি স্বীকৃতি থাকলেও তাঁদের  সমাজ এখনও ঠিক মেনে নেয়নি৷ ফলত কোনও সংগঠিত প্রতিষ্ঠানে এখনও কাজ পান না তাঁরা৷ ভরসা সেই পুরনো বাচ্চা নাচানো পেশা৷ কিংবা ভিক্ষা করা৷ তার উপর এই বৃহন্নলাদের মধ্যেও আছে শ্রেণিভেদ৷ এক শ্রেণির অর্থাভাব নেই৷ নোট বাতিলের সময়ও তাঁরা মোটামুটি স্বস্তিতেই আছেন৷ কিন্তু বহু বৃহন্নলাই উপার্জনের বিকল্প কোনও পথ খুঁজে পাচ্ছেন না৷ ভিক্ষা বা কোনও বাড়িতে যাওয়ার প্রশ্নই নেই৷ ফলে যৌনপেশাতে ফেরা ছাড়া রাস্তাই আপাতত খোলা নেই৷

Advertisement

টাকার প্রয়োজনে ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়েও হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের৷ খোদ রাজধানীতেই এ অভিযোগ জানিয়েছেন এক বৃহন্নলা৷ ঘণ্টা তিনেক লাইনে দাঁড়িয়ে স্রেফ একদল ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে৷ কাজের কাজ কিছু হয়নি৷ এই পরিস্থিতিতে হাতে টাকা পাওয়ার এখন একটাই উপায়৷

এসব সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পাশেই আছেন তাঁদের কেউ৷ সাধারণ মানুষ যেভাবে ভোগান্তি মেনে নিয়েও মোদির পাশে দাঁড়িয়েছেন, তেমনই নিজেদের ভবিতব্য মেনে নিয়েই নমোকে সমর্থন জোগাচ্ছেন বৃহন্নলারা৷ কালো টাকার কারবারিদের দিন শেষ হবে এমনটাই বিশ্বাস তাঁদেরও৷ আর সেই উদ্দেশ্য পূরণ করতে যদি তাঁদের পুরনো পেশায় ফিরতে হয়, তবে সেটাই দস্তুর৷

আইনি স্বীকৃতি মিললেও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা না পেলে এ সমস্যার সমাধান নেই৷ যতদিন না পরিচিত কাজে তাঁরা নিযুক্ত হতে পারছেন ততদিন এটাই নিয়তি৷ আর তাই নোট বাতিলের সংকটে যেন বেশ খানিকটা অন্ধকারেই যেন বৃহন্নলারা৷ তবে আজ অন্ধকার মেনে নিলে দেশে একদিন আলো ফুটবে, এমনটাই আশা তাঁদের৷

(ছবি-প্রতীকী)

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ