Advertisement
Advertisement
Uddhav Thackeray

নির্বাচন কমিশন যেন ‘সুপারি কিলার’, এবার দলীয় মুখপত্রে তীব্র আক্রমণ উদ্ধব শিবিরের

কমিশনকে ‘মেরুদণ্ডহীন সরীসৃপ’ও বলা হল 'সামনা'য়।

Uddhav Thackeray Shiv Sena slammed EC Working like contract killer for rulers | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:March 6, 2023 12:29 pm
  • Updated:March 6, 2023 12:54 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি শিব সেনার (Shiv Sena) ‘মালিকানা’ ও নির্বাচনী প্রতীক বিদ্রোহী শিবির একনাথ শিন্ডেদের (Eknath Shinde) বরাদ্দ করেছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছিল। তারপর থেকেই ক্রমাগত নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগে চলেছে উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) শিবির। এবার দলের মুখপত্র ‘সামনা’য় তীব্র আক্রমণ করে কমিশনকে সরাসরি ‘সুপারি কিলার’, ‘মেরুদণ্ডহীন সরীসৃপ’ ইত্যাদি বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

শনিবার সামনা’য় প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে উদ্ধব শিবির বলেছে, তাদের রাজনৈতিক প্রভুদের ‘সুপারি কিলার’-এর মতো আচরণ করছে নির্বাচন কমিশন। তাই সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কমিটি গঠনের যে রায় দিয়েছে, তা দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে মঙ্গলজনক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ, শাসকের পায়ের কাছে মেরুদণ্ডহীন সরীসৃপের মতো আত্মসমর্পণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে মোদিকে চিঠির পরই রাবড়ি দেবীর বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের]

নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘পরিষদীয় দলের ৪০ জন বিধায়ক বিশ্বাসঘাতকতা করে ছেড়ে চলে গিয়েছে। শুধু সে কারণেই গোটা শিব সেনা এবং দলের তির-ধনুক প্রতীক বেইমানদের ঝুলিতে দিয়ে দেওয়া চরম অন্যায়। দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা নির্বোধ। তারা রাজনৈতিক প্রভুদের সুপারি কিলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়েই সমস্ত কিছু স্পষ্ট। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়। সরকার বিতর্কিত ব্যক্তিদের কমিশনে নিয়োগ করে যাতে তাদের দিয়ে ইচ্ছামতো কাজ করানো যায়।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এনকাউন্টার, খতম BSP বিধায়ক হত্যার প্রধান সাক্ষীর ‘খুনি’]

একই সঙ্গে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) সাম্প্রতিক বিধানসভা উপনির্বাচনে পুণের কসবা পেঠ আসনে বিজেপির হারের প্রসঙ্গও তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘কসবা-চিঁচড় উপনির্বাচনে কী দেখা গেল? মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্বে থাকা উপমুখ্যমন্ত্রী, গোটা মন্ত্রিসভা ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল। গোটা সরকারি প্রশাসন, অর্থ, লোকবল ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশকে কাজে লাগিয়ে টাকা বিলি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন চোখ বুজে ছিল। কারণ, তারা সকলেই সরকারি কর্মী। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত দেশের স্বার্থ রক্ষায় ও গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ