সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উন্নাওয়ে ধর্ষণের ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার করা হল অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেনেগারের ভাই অতুল সেনেগারকে। গতকালই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন রহস্যমৃত্যু হয় ধর্ষিতার বাবার। তারপরই ডিজিপির নির্দেশে গ্রেপ্তার হল বিধায়কের ভাই।
[ হিমাচলে স্কুলবাস দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৩০, আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর ]
ধর্ষণ করেছে বিজেপি বিধায়ক। এই অভিযোগে সোচ্চার হয়েছিলেন এক তরুণী। প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির সামনেই সপরিবারে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন ওই তরুণী। কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা সেযাত্রা তাঁদের নিরস্ত করেন। কিন্তু তারপরই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর বাবার। অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতেই আটক করা হয়েছিল ওই প্রৌঢ়কে। অভিযোগ, জেলের মধ্যেই বিধায়কের লোকজন পিটিয়ে মেরেছে ওই ব্যক্তিকে। যদিও জেলের তরফে জানানো হয়েছিল, পেটে ব্যথার কারণে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার জেরে বরখাস্ত করা হয়েছিল একাধিক পুলিশকর্মীকে। শোরগোল পড়েছে গোটা রাজ্যে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন, দোষী যেই-ই হোক না কেন, কাউকে রেয়াত করা হবে না। সেই হুঁশিয়ারির পরই গ্রেপ্তার করা হল বিজেপি বিধায়কের ভাইকে।
[ টিনা ডাবিকে মনে পড়ে? সেকেন্ড বয়কে বিয়ে করলেন এই আইএএস টপার ]
যদিও বিজেপি বিধায়কের নামে এখনও কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। বিধায়ক অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তার অভিযোগ, ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই বিরোধীরা এই অভিযোগ এনেছে তার নামে। যদিও ধর্ষিতার বাবার রহস্যমৃত্যুতে বিধায়কের চার সমর্থককে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পেটে ব্যথা ও বমি হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। সেজন্য তাঁকে একবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গুরুতর কিছু না পাওয়ায় ফিরিয়ে আনা হয়। পুনরায় একই সমস্যা শুরু হলে ফের রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই পর্বেই বিধায়কের দলবল ওই প্রৌঢ়ের উপর অত্যাচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় চলছে বিচারবিভাগীয় তদন্ত।