Advertisement
Advertisement

Breaking News

উন্নাও

উন্নাও মামলা: নির্যাতিতার কাকাকে রায়বরেলি থেকে তিহার জেলে পাঠানোর নির্দেশ

দিল্লি নয় লখনউতেই নির্যাতিতার চিকিৎসায় সিলমোহর সর্বোচ্চ আদালতের।

Unnao rape survivor critical, won't be shifted to Delhi.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:August 2, 2019 2:57 pm
  • Updated:August 2, 2019 2:57 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শারীরিক অবস্থা ভাল নয় উন্নাওয়ের নির্যাতিতার। এখনও জ্ঞান ফেরেনি। তাই লখনউতেই তাঁর চিকিৎসা করার আবেদন জানানো হয়েছিল পরিবারের তরফে। শুক্রবার শীর্ষ আদালতে এই সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি হয়। সেখানে এই কথা উল্লেখ করে শারীরিক অবস্থা ভাল হলে তাঁকে দিল্লি পাঠানোর ব্যবস্থা হোক বলে আবেদন করেন তাঁদের আইনজীবী। তাতে সাড়া দিয়ে নির্যাতিতাকে এখনই দিল্লিতে নিয়ে আসার দরকার নেই বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে রেখেই তাঁর চিকিৎসা করার নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে নির্যাতিতার কাকাকে রায়বরেলি জেল থেকে তিহার জেলে স্থানান্তরিত করার।

[আরও পড়ুন: ব্যক্তি বিশেষে সন্ত্রাসবাদী তকমা দানের ক্ষমতা, রাজ্যসভায় পাশ ইউএপিএ সংশোধনী বিল]

হাসপাতালের পক্ষ থেকে সদ্য প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতা ও তাঁর আইনজীবীর শারীরিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। নির্যাতিতাকে ভেন্টিলেশনে রাখার পরেও তাঁর জ্বর এসেছে। তবে আইনজীবীকে ভেন্টিলেশন থেকে বাইরে আনা হয়েছে। এরপরই উন্নাওয়ের নিগৃহীতার পরিবারের তরফে শীর্ষ আদালতকে আবেদন জানানো হয়। তাঁরা লখনউয়ের হাসপাতালেই মেয়ের চিকিৎসা করাতে চান বলে জানান। এর ভিত্তি লখনউ থেকে এয়ারলিফট করে দিল্লির এআইআইএমএস হাসপাতালে নিয়ে আসার নির্দেশ ফিরিয়ে নেয় সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

বৃহস্পতিবার নির্যাতিতাকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। শুক্রবার সেই টাকার চেক নির্যাতিতার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে। তবে তাঁর কাকাকে রায়বরেলি থেকে তিহার জেল থেকে স্থানান্তরিত করার বিষয়ে প্রথমে আপত্তি জানায় যোগী প্রশাসন। শুক্রবার আদালতে তাদের তরফে দাবি করা হয়, ওই ব্যক্তি রায়বরেলি জেলে সুরক্ষিত আছেন। নিরাপত্তার কোনও সমস্যা নেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, আটক মালদ্বীপের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট]

কিন্তু, তাদের সেই আপত্তি শোনেনি আদালত। বরং দ্রুত নির্যাতিতার কাকাকে রায়বরেলি থেকে তিহার জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এরপরই উত্তরপ্রদেশের সরকারি আইনজীবীর তরফে জানানো হয়, নির্যাতিতার কাকা এই মামলার একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তাই তাঁকে উত্তরপ্রদেশ থেকে অন্য রাজ্যের জেলে স্থানান্তরিত করতে সরকারের কোনও আপত্তি নেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ