Advertisement
Advertisement

Breaking News

Corona mata

নির্মাণের পাঁচদিনের মধ্যেই ভেঙে দেওয়া হল ‘করোনা মাতা’র মন্দির, মন খারাপ স্থানীয়দের

কেন ভাঙা হল মন্দির?

UP: 'Corona mata' temple built, demolished after five days | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:June 13, 2021 10:19 am
  • Updated:June 13, 2021 10:19 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ ভাইরাসকে তাড়াতে ধুমধাম করে তৈরি হয়েছিল করোনা মাতার মন্দির। যা রাতারাতি উঠে আসে খবরের শিরোনামে। কিন্তু করোনার আয়ুতে বিন্দুমাত্র আঁচ না লাগলেও মন্দিরের আয়ু দীর্ঘস্থায়ী হল না। তৈরির পাঁচদিনের মধ্যেই তা ভেঙে দেওয়া হল।

গ্রামের নাম শুক্লাপুর। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) পর্তপগর জেলার এই গ্রামেই গত ৭ জুন তৈরি হয় ‘করোনা মাতা’র (Corona Mata) মন্দির। দেখা গিয়েছিল, শ্বেতবর্ণ দেবীর চারটি হাত। মুখ ঢাকা মাস্কে। নিমগাছের তলায় অধিষ্ঠিত দেবী। মন্দিরে পুজো দেওয়ারও বেশ কিছু নিয়মকানুন চালু করা হয়েছিল। কোভিডবিধি মেনে চলাই যে পুজোয় যোগ দিতে হবে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ হাত স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে ধুয়ে, সামাজিক দূরত্ব মেনে মাস্ক পরে তবেই পুজো দেওয়া যাবে। সেই সঙ্গে ছিল আরেকটি নিয়ম। ফল, ফুল, মিষ্টি বা যা কিছুই দেবীর পায়ে নিবেদন করুন না, তা হতে হবে ‌হলুদ রঙের। কিন্তু শুক্রবার রাতে সব শেষ। ভেঙে ফেলা হল মন্দির।

Advertisement

[আরও পড়ুন: GST বৈঠকেও বাংলার কণ্ঠরোধ! বলতে দেওয়া হয়নি অমিত মিত্রকে, অভিযোগ ওড়াল কেন্দ্র]

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশই মন্দিরটি ভেঙে দিয়েছে। যদিও পুলিশ জানাচ্ছে, বেআইনিভাবেই ওই এলাকায় এই নির্মাণ কাজ হয়েছিল। আর এই অবৈধ জমির সঙ্গে যুক্ত কোনও পক্ষই মন্দিরটি ভেঙেছে। তবে আসল ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানায় পুলিশ। তবে জানা গিয়েছে, লোকেশ কুমার শ্রীবাস্তবের নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে জমিটির মালিকানা ছিল নগেশ কুমার শ্রীবাস্তব ও জয়প্রকাশ শ্রীবাস্তবেরও। কিন্তু নগেশের অভিযোগ, জমি হাতানোর জন্যই লোকেশ মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। স্থানীয়দের থেকে চাঁদা তুলেই মন্দিরটি নাকি গড়েছিলেন লোকেশ। ফলে পাঁচদিনের মধ্যে মন্দির ভেঙে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার লোকেরা।

Advertisement

কিন্তু হঠাৎ কী করে কেন তৈরি হয়েছিল এই মন্দির? এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘‘এই দেবীর আরাধনা করার সিদ্ধান্ত গ্রামের সবাই মিলেই নেওয়া হয়। করোনা বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আর যাতে সে আঘাত না হানতে পারে তাই এই মন্দির।’’ মন্দিরে পুজোর দায়িত্বে ছিলেন রাধে শ্যাম বর্মা। কিন্তু জমি জটে শেষমেশ ‘করোনা মাতা’র বিদায়ে মন খারাপ স্থানীয়দের।

[আরও পড়ুন: ফের চরমে পাইলট এবং গেহলট শিবিরের দ্বন্দ্ব! রাজস্থান দুশ্চিন্তা শুরু কংগ্রেসের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ