Advertisement
Advertisement

ফসল বাঁচাতে স্কুলে বন্দি গরুর পাল, পড়াশোনা লাটে যোগীর রাজ্যের স্কুলে

কসাইখানা বন্ধের পর ভবঘুরে গরুর অত্যাচার বাড়ছে।

UP farmers lock hundreds of cows in school
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 31, 2017 7:20 am
  • Updated:October 1, 2019 5:46 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাইরে থেকে আসা গরু ফসল রোজ সাবাড় করে দিচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের সাকেথু গ্রামের কৃষকরা এইসব পথভোলা গরুকে বাগে আনতে গিয়ে গোল বাধিয়েছেন। প্রায় ২৫০ ভবঘুরে গরু এবং মোষকে গ্রামের একটি স্কুলের মধ্যে ঢুকিয়ে তালা মেরে দেন তারা। এর ফলে গ্রামের কচিকাঁচাদের পড়াশোনা লাটে উঠেছে। কৃষকদের দাবি জেলা প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কাজ না হওয়ায় এই পদক্ষেপ করতে তারা বাধ্য হন।

[রাম রহিমের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন মনমোহন]

Advertisement

লখিমপুর খেরি জেলায় এমন ঘটনা এক মাসের মধ্যে চার বার ঘটল। তবে এবারের বিষয়টির প্রভাব সবথেকে বেশি। স্কুলশিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানান এমন পরিস্থিতির ফলে পড়ুয়ারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে স্কুল চালু করা যাবে। তবে গ্রামবাসীদের এই কাণ্ডে অবাক স্কুলের শিক্ষকরা। প্রায় ২৫০ গরুকে স্কুলঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ায় তারা স্তম্ভিত। কচিকাঁচাদের কোলাহলের বদলে সেখানে এখন সারাক্ষণ হাম্বা-হাম্বা আওয়াজ। স্কুলের মধ্যে বাঁশের ব্যারিকেড করে গরুগুলিকে রাখা হয়েছে। পড়াশোনার পরিবেশ ফেরাতে স্থানীয় নাখা থানার পুলিশ এবং জেলা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা স্কুলে যান। বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে তারা কথা বলেন। তবে গ্রামবাসীরা অনড়। তাদের সাফ কথা, ভবঘুরে গরুগুলোর হিল্লে না হওয়া পর্যন্ত স্কুল থেকে গরু ছাড়া হবে না।

Advertisement

[৩৮ জনের মৃত্যুর নেপথ্যে রাম রহিমের ‘লাল ব্যাগ’]

অনিরুদ্ধ কুমার নামে এক চাষির বক্তব্য, বেআইনি কসাইখানায় ঝাঁপ পড়ার পর থেকে এধরনের নাম-গোত্র হীন গরু, মোষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ভবঘুরে গরু, মোষ কোথায় রাখা হবে তা ঠিক না করেই কসাইখানা বন্ধ করে দেওয়ায় তারা ফসল বাঁচাতে পারছেন না। চাষিদের অভিযোগ, জমি বেড়া দিয়ে ঘিরতে চাইলে স্বঘোষিত গো-রক্ষকরা অশান্তি বাধাচ্ছে। গরুর ক্ষতি হলে থানায় জানানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা বিনোদ গুপ্তর বক্তব্য, দিন ১৫ আগে এমন ঘটনা ঘটেছিল। বাইরের গরু-মোষ গ্রামে ঝামেলা বাড়াচ্ছিল। এত কাণ্ডের পরও প্রশাসন চোখ বন্ধ করে আছে। খেরির জেলাশাসক আকাশদীপ মানছেন, ভবঘুরে গৃহপালিত পশু ওই এলাকার বড় সমস্যা। গবাদি পশুগুলি যাতে আশ্রয় পায় তা নিয়ে বেশি কিছু স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। বিষয়টি রাজ্য প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে গরু নিয়ে ফের এমন ঘটনা ঘটায় সমাজবাদী পার্টি প্রশাসনের ভূমিকার নিন্দা করেছে। তাদের অভিযোগ গরু নিয়ে এমন অবস্থানে স্পষ্ট বোঝা যায় গরু নিয়ে বিজেপির কথা আসলে লোক দেখানো।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ