Advertisement
Advertisement

Breaking News

UP Madrassa Board

উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসায় পড়ছে অমুসলিম পড়ুয়ারাও! প্রবল আপত্তি জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

অমুসলিমদের মাদ্রাসায় ভরতির মধ্যে অশনি সংকেত দেখছে শিশু সুরক্ষা কমিশন।

UP Madrassa Board made silly statement, says NCPCR chief on non-Muslim students | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 22, 2023 11:03 am
  • Updated:January 22, 2023 11:06 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় অমুসলিম পড়ুয়াদের ভরতি করা নিয়ে এবার সরাসরি বিবাদ শুরু হয়ে গেল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন এবং উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ডের। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের দাবি, উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসাগুলি (UP Madrassa) অমুসলিম পড়ুয়াদের ভরতি করে তাদের ধর্মীয় শিক্ষা দিচ্ছে। এই ‘অপচেষ্টা’ বন্ধ করতে মাদ্রাসা বোর্ডকে নোটিসও দিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। কিন্তু তাতে কাজের কাজ হয়নি।

বিতর্কের সূত্রপাত গত বুধবার। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের (NCPCR) তরফে রাজ্যের সব বিভাগের সচিবদের চিঠি দেওয়া হয়। যাতে দাবি করা হয়, সেরাজ্যের মাদ্রাসগুলিতে হিন্দু তথা অন্যান্য অমুসলিম পড়ুয়ারাও পড়ছে। শিশু সুরক্ষা কমিশন এই বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছে না। কমিশনের বক্তব্য, মাদ্রাসার মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মূলত ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়। সুতরাং অমুসলিমদের সেই শিক্ষা পাওয়া উচিত নয়। কমিশন উত্তরপ্রদেশের সচিবদের নির্দেশ দেয়, মাদ্রাসায় পাঠরত সব অমুসলিম পড়ুয়াকে শনাক্ত করা হোক। এবং তাঁদের সাধারণ স্কুলে ভরতি করে দেওয়া হোক।

Advertisement

[আরও পড়ুন; ‘পয়গম্বরকে অপমান করলে দেশের সব শহরকে কারবালা বানিয়ে দেব’, হুমকি মুসলিম নেতার]

কিন্তু শিশু সুরক্ষা কমিশনের সেই চিঠির প্রবল বিরোধিতা করেছে উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ডও। মাদ্রাসা বোর্ডের প্রধান ইফতিকার আহমেদ বলছেন, মাদ্রাসায় অমুসলিমদের পড়াশোনা করাটা নতুন কিছু নয়। অনেক অহিন্দুও সংস্কৃত টোলে পড়াশোনা করে। সব ধর্মের মানুষ মিশনারি স্কুলগুলিতে পড়াশোনা করে। সুতরাং কোনও অমুসলিম পড়ুয়া মাদ্রাসায় পড়তেই পারে। এতে আপত্তির কোনও কারণ নেই। উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ড সাফ বলে দিচ্ছে, তারা আগামী দিনেও অমুসলিম ছাত্রদের ভরতি করবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন; মাত্র ১০ মিলিলিটার ভদকা সঙ্গে রাখাই কাল! জেলে যেতে হল রুশ পর্যটককে]

মাদ্রাসা বোর্ডের এই অবস্থানে ক্ষোভ আরও বেড়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের। কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলছেন, মাদ্রাসা বোর্ডের এই অবস্থান বোকা বোকা। তাঁর বক্তব্য, এভাবে মাদ্রাসায় অহিন্দুদের ভরতি করাটা সংবিধানের ২৮(৩) নং অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এ বিষয়ে মাদ্রাসা বোর্ডকে (UP Madrassa Board) ৩ দিনের মধ্যে জবাবদিহি করতে হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ