Advertisement
Advertisement
Coronavirus Bihar

করোনা আক্রান্ত স্বামীর জন্য সাহায্য চাইতেই হাসপাতালে যৌন হেনস্তার শিকার গৃহবধূ

শেষ পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছে অভিযুক্ত কর্মীকে।

UP woman claims harassment, neglect at bihar hospitals treating husband | Sangbad Pratidin

প্রতীকী ছবি।

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:May 11, 2021 1:59 pm
  • Updated:May 11, 2021 2:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীর ফুসফুস করোনায় (Coronavirus) ৬০ শতাংশ সংক্রমিত। রোগের ছোবলে ভাল করে কথা বলতে পারছেন না। এই অবস্থায় তাঁর বিছানার চাদর বদলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন স্ত্রী। তৃষ্ণার্ত স্বামীকে জল দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। আর সেই কারণেই তাঁকে হতে হল যৌন হেনস্তার (Physical Harrasment) শিকার! বিহারের (Bihar) এক হাসপাতালে এমনই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নয়ডার গৃহবধূ। শেষ পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছে অভিযুক্ত কর্মচারীকে।

ঠিক কী হয়েছিল? ১২ মিনিটের এক ভিডিওয় নিজের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা সকলকে জানিয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা নয়ডার (Noida) বাসিন্দা। হোলিতে অংশ নিতে বিহারে এসেছিলাম। কিন্তু ৯ এপ্রিল আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বর ছিল। কিন্তু কোভিড পরীক্ষায় দু’বারই নেগেটিভ আসে। এরপর আরটি-পিসিআর টেস্টের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু নয়ডার এক চিকিৎসকের কথায় ওঁর বুকের সিটি স্ক্যান করিয়ে দেখা যায় ফুসফুস ৬০ শতাংশ সংক্রমিত।’’

Advertisement

[আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে গুলির লড়াই, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিকেশ ৩ লস্কর জঙ্গি]

এরপরই তাঁর স্বামীকে গ্লোকাল হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। এদিকে মহিলার মা’ও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে আইসিইউয়ে রাখা হয়েছিল। সর্বত্রই প্রবল অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন মহিলা। তবে পরে তাঁর মা কিছুটা সুস্থ হলেও স্বামী ক্রমেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরই হয় সেই অভিজ্ঞতা।

Advertisement

তিনি জানিয়েছেন, ‘‘গ্লোকাল হাসপাতালে এক কর্মী ছিল। নাম জ্যোতি কুমার। তাকে সাহায্যের জন্য আবেদন করি। বলি, ওঁর বিছানার চাদরটা বদলে দিতে। সে সাহায্য করবেও বলে। কিন্তু যখন আমি স্বামীর সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখনই আমার ওড়নায় টান পড়ে। তাকিয়ে দেখি সে আমার কোমরে হাত রেখেছে। ওড়না ছিনিয়ে নিলেও কিছু বলতে পারিনি। আমার মা ও স্বামী এখানে ভরতি আছেন। বারবার ভাবছিলাম যদি কিছু বললে ওরা ওঁদের কোনও ক্ষতি করে দেয়!’’

এছাড়াও মহিলার অভিযোগ, হাসপাতালে যে ডাক্তাররা আছেন, তাঁরা রোগী দেখতে এসে কয়েক মিনিটের বেশি থাকতেন না। হাসপাতালের কর্মীদের কাছে তাঁর স্বামী জল খাওয়ার ইশারা করলেও কেউ তাঁকে জল এগিয়ে দেননি। তবে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তিনি অভিযোগ জানালে সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত কর্মচারীকে সাসপেন্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

[আরও পড়ুন: নিজামুদ্দিনের পুনরাবৃত্তি উত্তরপ্রদেশে, মুসলিম ধর্মগুরুর শেষকৃত্যে উপচে পড়ল ভিড়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ