সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনায় সরকারি সিলমোহর পড়ে গেল। এবার বিজেপির সঙ্গ ছাড়ছেন জোটসঙ্গী উপেন্দ্র কুশওয়াহা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন আরএলএসপি নেতা।মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি।সোমবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পর এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন তিনি। আজ দিল্লিতে বিরোধীদের মহাজোট বৈঠকেও অংশ নেবেন কুশওয়াহা।
[লোকসভা ভোটে বিরোধী ঐক্যে শান, দিল্লিতে জোট বৈঠকে মধ্যমণি মমতা]
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছিলেন বিহারের এই নেতা। রাজনীতিতে নীতীশ কুমারের বিরোধী হিসেবেই পরিচিত তিনি। তাঁর কোরি সম্প্রদায় এবং নীতীশের কুর্মী সম্প্রদায়ের বিরোধের কথা সবার জানা। নীতীশ কুমার নতুন করে এনডিএ-তে ফিরে আসায় অপেক্ষাকৃত ছোট জোটসঙ্গী কুশওয়াহ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। তাছাড়া এনডিএ জোটে নীতীশের প্রত্যাবর্তনের ফলে কুশওয়াহ-র দল রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টিও চাপে পড়ে গিয়েছিল। আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল বিরোধের অন্যতম কারণ। সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচনে আরএলএসপির জন্য মাত্র ২ টি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছিল বিজেপি। ২০১৪ লোকসভায় আরএলএসপির ৩ জন সাংসদ জয়ী হয়েছিলেন। সুতরাং জয়ী আসন ছাড়তে রাজি নন সদ্য ইস্তফা দেওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে নিয়মিত বিরোধী শিবিরে যোগাযোগ রাখছিলেন উপেন্দ্র কুশওয়াহ। এর আগে বিহারের প্রধান বিরোধী মুখ তেজস্বী যাদবের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। আজ নয়াদিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিহারের এই প্রভাবশালী নেতা।মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর তিনি বলেন, “মোদি সরকার বিহার তথা গোটা দেশের মানুষকে আচ্ছে দিন উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। ওবিসি, দলিতদের জন্যও সুবিচার করতে পারেনি সরকার।”
[গান্ধী পরিবারের প্রচার করছেন মোদিই, ভিডিও প্রকাশ করে দাবি রাহুলের]
লোকসভার আগে কুশওয়াহ-র জোট ছাড়া বিহার বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। কারণ, বিহারে দলিত ভোটারদের মধ্যে আলাদা জনপ্রিয়তা আছে তাঁর। দলের সাংসদ সংখ্যা বেশি না হলেও তাঁর বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়া সার্বিক ফলাফলে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। বিজেপির জন্য খারাপ খবর অবশ্য আরও আছে। বিহারের পাশাপাশি অসমেও সঙ্গীহারা হচ্ছে গেরুয়া শিবির। অসম গণ পরিষদ (অগপ)-ও বিজেপির সঙ্গে ছাড়ার কথা সরকারিভাবে জানিয়ে দিয়েছে।