কিংশুক প্রামাণিক, নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল। উনিশের ফাইনালের দিকে তাকিয়ে এই ডিসেম্বরে সেমিফাইনালের ফল কেমন হয় সেদিকেই নজর এখন দেশের শাসক, বিরোধী সব শিবিরের। বুথফেরত সমীক্ষা যাই রায় দিক না কেন স্নায়ুযুদ্ধ কিন্তু দু’পক্ষেরই। দিল্লিতে পৌঁছে সেই আঁচই পেলাম। বেশ শীত রাজধানীতে। আগামী ক’দিনে আরও নাকি নামবে তাপমাত্রা। কিন্তু রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামের ভোটের তাপ এতই তীব্র হয়ে উঠছে যে, যত ঠান্ডাই পড়ুক রাজনীতির পারদ কিন্তু ঊর্ধ্বমুখী।
[ ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব গুণ আছে মমতার’, প্রশংসায় পঞ্চমুখ যশবন্ত]
ঠিক এরকম সময়ে কলকাতা থেকে দিল্লি এসে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার চন্দ্রবাবু নায়ডুর ডাকা বিরোধী শিবিরের বৈঠকে যোগ দেওয়া তাঁর প্রধান কর্মসূচি হলেও নেপথ্য বিষয় দুটি। এক, পাঁচ বিধানসভার ফল প্রকাশের দিনটা মমতা রাজধানীতেই থাকতে চাইছেন। সেদিন তিনি যাবেন সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলেও। যদি বিজেপির ফল খারাপ হয়, তাদের নাকের ডগায় বসে তিনি তা উপভোগ করতে চান। দুই, উনিশে জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে বিরোধী নেতাদের আমন্ত্রণের কাজও এই পর্বে শেষ করতে চান তৃণমূল নেত্রী। এখনও পর্যন্ত যেভাবে তিনি সাড়া পেয়েছেন, তাতে ওই দিন কলকাতায় নজিরবিহীন এক নক্ষত্র সমাবেশ হতে চলেছে। একটি-দুটি দল বাদ দিলে দেশের সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলের নেতারা সমাবেশে আসার সম্মতি দিচ্ছেন।
বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে আঞ্চলিক দলগুলির সমন্বয় তৈরি করতে অনেক দিন ধরেই লড়াই চালাচ্ছেন মমতা। রবিবার দিল্লি আসার আগে সোনিয়া গান্ধীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন মমতা। মূলত তাঁর ফর্মুলাতে জোটবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচন ও লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে দারুণ ফল করেছে বিরোধীরা। একের পর এক আসন হারিয়ে লোকসভায় বিজেপি একক গরিষ্ঠতার নিচে নেমে গিয়েছে। এবার সেই জোটকে লোকসভা ভোট পর্যন্ত নিয়ে যেতেই তৎপরতা তুঙ্গে। পরিস্থিতি বুঝে কংগ্রেসও আঞ্চলিক শক্তিগুলির জোটের প্রতি তাদের নির্ভরতা প্রকাশ করতে শুরু করেছে। এই সময় জনতার রায়ে পাঁচ রাজ্যে যদি বিজেপি আরও কোণঠাসা হয়, তাহলে বিরোধীদের মহাজোট অনেক গতি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সোমবার দুপুরে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর আহ্বানে বিরোধীদের বৈঠক। সংসদের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে ওই বৈঠক হবে। এখনও পর্যন্ত খবর, মায়াবতীর ওই বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হলেও বাকি সব বিজেপি বিরোধী দলের শীর্ষনেতারা হাজির হবেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও থাকছেন। বৈঠকে মূল আলোচ্য বিজেপি বিরোধী জোট। তবে যেহেতু পাঁচ রাজ্যের ফলের ঠিক আগের দিন বৈঠক, সেই জন্য এই বৈঠক থেকে বড় কোনও সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
[গান্ধী পরিবারের প্রচার করছেন মোদিই, ভিডিও প্রকাশ করে দাবি রাহুলের]