Advertisement
Advertisement

Breaking News

Uttarakhand

উত্তরাখণ্ডে উদ্ধার ৩২জনের দেহ, বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সফল সেনা

এখনও পর্যন্ত ২০৬জন আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Uttarakhand: 32 bodies recovered, 206 persons missing; rescue efforts continue | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:February 10, 2021 11:22 am
  • Updated:February 10, 2021 11:54 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) হিমবাহ ধসের পর তৃতীয় দিনেও জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। ইন্দো-তিবেটিয়ান সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, এসডিআরএফ ও অন্যান্য এজেন্সি একজোট হয়ে দুর্গম তপোবন টানেলের মধ্যে ঢুকে আটকে পড়াদের বের করার আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ২০৬জন আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ৩২জনের দেহ।

টানেলের মুখ আটকে গিয়েছে পাথর ও বালিতে। তার ফলে সেখানে আটকে রয়েছেন যাঁরা, তাঁদের সন্ধান পাওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। তবে শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ১২০ মিটার ভিতরে ঢুকতে সফল হয়েছে উদ্ধারকারী দল। টানেলের ভিতর অক্সিজেনের অভাব অনুভূত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। চামোলি জেলার আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ ওই টানেল থেকে যত দ্রুত সম্ভব ধসের কবলে পড়া মানুষগুলিকে বের করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে চামোলি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ১৩টি গ্রামের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ভারত-চিন সীমান্তে অবস্থিত এই গ্রামগুলি নদীর উপরের সেতুর মাধ্যমে চামোলি জেলার মূল শহরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করত। কিন্তু হিমবাহ ধসে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে সেই সেতু। ফলে ওষুধ থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী, কোনও কিছুই আর পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না সেই সব গ্রামে। গ্রামগুলির মধ্যে অন্যতম রাইনি গ্রামের সঙ্গে নতুন করে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে বলেই সেনার তরফে খবর। 

[আরও পড়ুন: স্থায়ী হল না স্বস্তি, ফের বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ঊর্ধ্বমুখী মৃত্যুর হারও]

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত (Trivendra Singh Rawat) আগেই জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্রমাগত পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন। সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন।

দেবভূমের প্রলয়ে (Uttarakhand) তছনছ হয়ে গিয়েছে তপোবন বাঁধ। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। এই প্রকল্পটি তৈরি হয়েছিল রাজ্য পরিচালিত এনটিপিসির তত্ত্বাবধানে। খরচ হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। হিমবাহে ধসের জেরে এই প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

[আরও পড়ুন: ভিন্ন ধর্ম-বর্ণের বিয়ে মেনে নেওয়ার সময় এসেছে, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement