সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি-র দিকে কি এগিয়ে আসছে কোনও অজানা বিপদ?
ইন্দো-চিন সীমান্তের বাসিন্দাদের কাছে আসা ভুতুড়ে ফোন কল সেই রকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ওই এলাকার অনেকেই হালফিলে এমন ভুতুড়ে ফোন কল পাচ্ছেন। দুরবুক গ্রামপ্রধানও বাদ যাননি এরকম ফোন কল পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা থেকে।
ভুতুড়ে ওই ফোন কলে কী কথা হচ্ছে তাঁদের উল্টো দিকে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে?
দুরবুক গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান স্তানজিন জানিয়েছেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। ”আমি তখন আর্মি ক্যাম্পে ছিলাম। এমন সময়ে আমার কাছে অজানা একটা নম্বর থেকে একটা ফোন এল। ফোনটা ধরলাম। দেখলাম উল্টো দিকের লোকটা আমায় চেনে। নামও জানে। সে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ওই অঞ্চলে আমাদের সেনার গতিবিধি জানতে চাইছিল। আমি জানতে চাইলাম, আপনি কে! জবাব এল, ডেপুটি কমিশনারের অফিস থেকে ফোনটা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্নের ধরনে আমার সন্দেহ হল। তাই বললাম, আমি কিছু জানি না”, জানিয়েছেন স্তানজিন!
পরে যখন খোঁজ নেওয়া হয়, দেখা যায়, ডেপুটি কমিশনারের অফিস থেকে এরকম কোনও ফোন করা হয়নি। তখন সেনারা নম্বরটা কার, সেটা বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। শুধু এটুকু জানা গিয়েছে, ওটা একটা কম্পিউটার জেনারেটেড নম্বর ছিল।
স্তানজিন একাই নন! তাঁর মতো এরকম ফোন আরও অনেকেই পাচ্ছেন ইন্দো-চিন সীমান্তে। যাঁরা কোনও সরকারি চাকরি করেন বা সেনাবাবিনীর খবরাখবর দিতে পারেন, বেছে বেছে তাঁদের কাছেই ফোন যাচ্ছে।
কে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে, তা এখনও খুঁজে বের করা যায়নি। সন্দেহ করা হচ্ছে, এর পিছনে চিন বা পাকিস্তানের হাত থাকতে পারে!
আপাতত সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।