সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাল্লাল দেবকে হত্যা করে মহেষমতি ও মাকে রক্ষা করেছিলেন অমরেন্দ্র বাহুবলী। আর সেই বাহুবলীই প্রাণ বাঁচালেন এক কঠিন রোগে আক্রান্ত রোগীরও। তবে এবার রিল নয়, রিয়েল লাইফে।
মস্তিস্কে তখন চলছে কঠিন অস্ত্রোপচার। অপারেশন থিয়েটারে রোগীকে ঘিরে রয়েছেন চিকিৎসক এবং নার্সরা। ব্রেন টিউমার থেকে রোগীকে মুক্ত করতে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে। আর এই প্রক্রিয়ায় রোগীর জ্ঞানে থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। তাহলে রোগী কী করছেন? তিনি কি ভয় পাচ্ছেন? আজ্ঞে না। তিনি তখন ব্যস্ত ভারতীয় চলচিত্রে মাইলস্টোন গড়া ‘বাহুবলী টু’ ছবি দেখতে। হ্যাঁ, এক্কেবারে ঠিক পড়েছেন। অস্ত্রোপচারের সময় এভাবেই জাগিয়ে রাখা হল রোগীকে।
ঘটনা অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের। যেখানে ব্রেন টিউমার নিয়ে ভরতি হয়েছিলেন ৪৩ বছর বয়সি বিনয়া কুমারী। যিনি নিজেও পেশায় একজন নার্স। অস্ত্রোপচারের খাতিরে তাঁকে সচেতন রাখতেই হত। তবেই মস্তিষ্কের সঠিক এলাকায় ছুরি-কাঁচি চালানো সম্ভব। আর তাই চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন এমন কোনও কাজে রোগীকে ব্যস্ত রাখতে হবে যাতে তিনি নির্ভয়ে জেগে থাকতে পারেন। তখনই মাথায় আসে ‘বাহুবলী টু’-এর কথা। অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর সামনে ল্যাপটপে ব্লকবাস্টার ছবিটি চালিয়ে দেওয়া হয়। রোগী যে শুধু তা দেখছিলেন, এমনটাই নয়। ছবির গানও গুনগুন করছিলেন। আর মস্তিষ্ক থেকে নির্মূল হতে থাকে টিউমার। নিউরোসার্জেন ডক্টর শ্রীনিবাস বলছেন, “অস্ত্রোপচার চলাকালীন রোগী অচেতন হলে সমস্যায় পড়তে হত। তাই তাঁর চোখের সামনে ‘বাহুবলী টু’ চালিয়ে দেওয়া হয়। আর তাতেই কাজ হয়। রোগীকে দেখে মনে হচ্ছিল, তাঁর যে অস্ত্রোপচার চলছে সেকথা হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন তিনি।” আর এই কারণেই মজা করে
চিকিৎসকরা এই অস্ত্রোপচারের পোশাকি নাম রেখেছেন ‘বাহুবলী ব্রেন সার্জারি।’
এর আগে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালের ঘটনাও সকলকে অবাক করেছিল। ৩২ বছরের সুরকার অভিষেক প্রসাদ অস্ত্রোপচারের সময় আপন মনে গিটার বাজিয়েছিলেন। সে অপারেশন আবার ছিল দীর্ঘ সাত ঘণ্টার। ওই যুবক ‘ডিসটোনিয়া’ নামক রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এবার বাহুবলীই সুস্থ করে তুললেন বিনয়া কুমারীকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.