Advertisement
Advertisement

Breaking News

West Bengal Assembly Election

প্রথম দফার ৩০ আসনের মধ্যে ২৬টিই জিতবে বিজেপি, দাবি অমিত শাহর

'আপনার মাইন্ড গেম গুজরাটের জিমখানায় ফেলে আসুন', পালটা ডেরেকের।

West Bengal Assembly Election: 30 seats in West Bengal we will win more than 26 seats, claims Shah
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 28, 2021 3:02 pm
  • Updated:March 28, 2021 6:54 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের ফল বেরনোর কথা ২ মে। কিন্তু অমিত শাহ (Amit Shah) ততদিন অপেক্ষা করতে রাজি নন। প্রথম দফার ভোটের পরের দিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একপ্রকার ফলাফল ঘোষণা করে দিলেন। দিল্লিতে ঘটা করে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করলেন, প্রথম দফার ৩০টি আসনের মধ্যে ২৬টি আসনেই জিতবে গেরুয়া শিবির। শাহর দাবি, বিজেপি নিজেদের পূর্ব নির্ধারিত ২০০ আসনের টার্গেট পূরণ করতে চলেছে। আর প্রথম দফা ভোটের পরই সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। 

[আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে দেশজুড়ে পালিত হবে ‘অমৃত মহোৎসব’, মন কি বাতে ঘোষণা মোদির]

গতকাল রাজ্যের ৩০ আসনের নির্বাচনে প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছিল ভোটের হার।  গতবারের তুলনায় ভোট পড়েছে অনেকটাই বেশি। ৫ জেলায় ভোট পড়েছিল প্রায় ৮৮ শতাংশ। সাধারণত বেশি ভোটের হার প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ইঙ্গিত দেয়। আর সেটাই মূল ভরসার জায়গা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তিনি বলছেন, “দলের কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে আমি নিশ্চিত আমরা ২৬টির বেশি আসন পাচ্ছি। আমি বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের সমর্থন করার জন্য।” শাহ বলছেন, বাংলায় যেভাবে নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে, সেটাই ইঙ্গিত করছে বিজেপি (BJP) ২০০ আসনের টার্গেট পূরণ হতে চলেছে। তিনি বলছেন,”বাংলার মহিলাদের আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেব আমাদের ভোট দেওয়ার জন্য। বাংলায় আমরা দু’শোর বেশি আসন নিয়ে সরকার গড়তে চলেছি।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবার নজর দিচ্ছেন নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে। তাঁর কথায়,”বাংলার ভাগ্য এখন নন্দীগ্রামের হাতে। নন্দীগ্রামে (Nandigram) পরিবর্তন হলেই বাংলায় পরিবর্তন হবে।” 

 

[আরও পড়ুন: হোলির আগে রণক্ষেত্র বৃন্দাবন! পুলিশের উপরে চড়াও আরএসএস ও বিজেপি কর্মীরা, আটক ১]

প্রসঙ্গত, এক দফার ভোটের পরদিনই এভাবে আগ বাড়িয়ে কার্যত ফলাফল ঘোষণা করে দেওয়াটা কার্যত নজিরবিহীন। তাই অনেকের ধারণা, এটা পরবর্তী দফাগুলির ভোটের আগে ভারতীয় রাজনীতির ‘চাণক্য’র মাইন্ড গেমও হতে পারে। যদিও তৃণমূলের দাবি, বাংলায় এই ধরনের কোনও মাইন্ড গেম কাজ করবে না। তৃণমূল (TMC) সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন পালটা শাহকে আক্রমণ শানিয়ে বলছেন, “আপনার মাইন্ড গেম গুজরাটের জিমখানায় ফেলে আসুন। এটা বাংলা, এখানে এই ধরনের পূর্বাভাস চলবে না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ