Advertisement
Advertisement
WHO Covaxin

আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত, COVAXIN-কে ছাড়পত্র দিতে পারে WHO

ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নিয়ে সন্তোষপ্রকাশ করেছেন WHO'র প্রধান গবেষক।

WHO likely to take a decision on including Covaxin in the emergency use list within four to six weeks | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 10, 2021 5:38 pm
  • Updated:July 10, 2021 5:38 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র মাস দেড়েকের অপেক্ষা। আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার টিকা COVAXIN-এর জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়ে দিতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন, WHO’র প্রধান গবেষক ডা. সৌম্যা স্বামীনাথন। তিনি জানিয়েছেন, টিকাটির প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক COVAXIN-এর ট্রায়াল সংক্রান্ত তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পোর্টালে আপলোড করছে। সেই তথ্য খতিয়ে দেখছেন WHO’র বিজ্ঞানীরা। সব ঠিক থাকলে, আগামী ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে জরুরি ব্যবহারের ছাড়পত্র পেতে পারে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই টিকাটি।

ডা. সৌম্যা স্বামীনাথন বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ব্যবহারের তালিকায় ছাড়পত্র পেতে হলে একটি প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। এক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের প্রস্তুতকারকদের তিন দফার সম্পূর্ণ ট্রায়ালের তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে জমা করতে হয়। তারপর হু’র বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা কমিটি সেই তথ্য পুরোপুরি খতিয়ে দেখে। COVAXIN-এর ক্ষেত্রেও সেই পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। প্রসঙ্গত, ভারত বায়োটেকের তৈরি টিকাটির কার্যকারিতা নিয়ে আগেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বামীনাথন। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, করোনার ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা খানিকটা কম হলেও, একেবারে খারাপ নয়। সব মিলিয়ে করোনা প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিনটি যথেষ্টই কার্যকরী। তাঁর এই মন্তব্যেই আশার আলো দেখছে টিকাটির প্রস্তুতকারী সংস্থা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষকে দিল্লিতে জরুরি তলব, নাড্ডা-সহ বিজেপি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা]

ডা. স্বামীনাথন জানিয়েছেন, COVAXIN-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য খতিয়ে দেখতে আগামী ২৩ জুন বৈঠকে বসছে WHO। সেদিনই টিকাটির কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা হবে। ভারত বায়োটেকের আশা, এবার তাঁদের ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে COVAXIN-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সংক্রান্ত তথ্য জমা দিয়েছে হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাটি। তাঁদের দাবি, করোনার উপসর্গযুক্ত রোগীদের উপর ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকর কোভ্যাক্সিন। যাঁদের অতিমাত্রায় উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ৯৩.৪ শতাংশ কার্যকরী তাঁদের টিকাটি। এমনকী, করোনার বিপজ্জনক ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধেও এই টিকাটি ৬৫.২ শতাংশ প্রতিরোধী বলে দাবি করেছে ভারত বায়োটেক।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ