সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের এক নৃশংস গণধর্ষণের (Gang rape) সাক্ষী উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। রিকশা চালক বাবা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে ধর্ষণ করে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করেছে। দ্রুত জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে নির্যাতিতাকে। তাঁর শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সীতাপুরের মিশরিখ অঞ্চলে।
সীতাপুরের পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট আরপি সিং জানিয়েছেন, আপৎকালীন নম্বর ১১২-তে ফোন করে তাঁদের কাছে খবর দেওয়া হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঠিক কী হয়েছিল? বছর তিরিশেকের ওই মহিলা বাপের বাড়ি থেকে ফেরার সময় ৫৫ বছরের ওই ব্যক্তির রিকশায় উঠেছিলেন। এরপরই তাঁর উপরে চড়াও হয় অভিযুক্ত। সে এবং তার ছেলে মিলে ধর্ষণ করে মহিলাকে। পরে তাঁর শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিশ দুই অভিযুক্তকেই আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
#UPPolice थाना नैमिषारण्य क्षेत्र में हुई घटना के संबंध में अपराध पंजीकरण, आरोपियों की गिरफ्तारी होने व पीड़िता की स्थिति सामान्य होने के संबंध में पुलिस अधीक्षक सीतापुर श्री आर.पी. सिंह द्वारा दी गयी बाइट। @Uppolice @dgpup @adgzonelucknow @Igrangelucknow pic.twitter.com/KcwCTQbGDl
— sitapur police (@sitapurpolice) February 27, 2021
[আরও পড়ুন: প্রভাব পড়বে মুদ্রাস্ফীতিতে, এবার পেট্রোপণ্যের শুল্ক কমানোর আরজি আরবিআই গভর্নরের]
পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট জানিয়েছেন, নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। মহিলার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেলেও আপাতত তিনি বিপন্মুক্ত বলে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনাটির বিস্তারিত বিবরণ জানতে চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত কয়েক বছরে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের নারী নিরাপত্তার বিষয়টি। যোগীর আমলে রাজ্যে নারীর নিরাপত্তার বিষয়টি ক্রমেই নিম্নমুখী হয়েছে। এই ক’বছরে নারী নির্যাতনের ঘটনা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডের পর থেকে নয়াদিল্লিকে অনেকে দেশের ‘ধর্ষণ-রাজধানী’ বলা শুরু করেছিল। কিন্তু ক্রমে দিল্লিকে পিছনে ফেলে সেই স্থানে যেন পৌঁছে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ।