সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। আসক্তি এতটাই, যে কার্যত মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। স্ত্রীর মানসিক ও শারীরিক কোনও চাহিদাই মেটাতে পারছেন না। এমনই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুম্বইয়ের এক তরুণী। আদালতের কাছে তাঁর আরজি, এদেশে অনলাইন পর্নোগ্রাফি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে বলে ঘোষণা করা হোক।
[পুরুষ সেজে জোড়া বিয়ে, পণ আদায়ে অভিনব প্রতারণার ছক তরুণীর]
স্মার্ট ফোনের যুগে ইন্টারনেট পরিষেবা এখন কার্যত মানুষের হাতের মুঠোয়। এই পরিষেবার অপব্যবহারও হচ্ছে বিস্তর। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে বাড়ছে সাইবার অপরাধ। ছড়িয়ে পড়েছে পর্নোগ্রাফি। মোবাইলের ফোনের সৌজন্যে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে যুবসমাজের একটি বড় অংশ। মুম্বইয়ের এক ব্যক্তি পর্নোগ্রাফিতে এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছেন, যে এদেশে অনলাইন পর্নোগ্রাফির নিষিদ্ধ করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। বছর সাতাশের ওই তরুণী আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী বয়স ৩৫। কৈশোর থেকে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত তিনি। এখন পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখেই দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে তাঁর। পরিস্থিতি এমনই পর্যায়ে পৌঁছেছে, যে দৈনন্দিন কাজকর্ম করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। ওই তরুণীর অভিযোগ, স্রেফ স্বামীর পর্নোগ্রাফিতে আসক্তির কারণে তাঁদের বিবাহিত জীবনের দফারফা হয়ে গিয়েছে। শারীরিক সম্পর্ক তো হচ্ছেই না, উলটে তাঁকে দিনের পর দিন অস্বাভাবিক যৌনতায় লিপ্ত বাধ্য করছেন স্বামী। এমনকী, পারিবারিক আদালতে ডিভোর্সের আবেদন জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। সুপ্রিম কোর্টের কাছে ওই তরুণীর আবেদন, পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতাই এদেশের উন্নতির পথে প্রধান অন্তরায়। বিকৃত যৌন রুচির শিকার হয়ে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলছে গোটা একটা প্রজন্ম। তাই এখনই যদি এদেশের অনলাইন পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে জন্মের হার কমে যাওয়া, যৌনতা সংক্রান্ত অপরাধ বাড়বে। গত বছর একই আরজি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এক স্কুল পড়ুয়া।
[যাত্রীর নিরাপত্তায় নয়া উদ্যোগ, অভিযোগ জানানোর নয়া ওয়েবসাইট রেলের]
বস্তুত, যেকোনও ধরনের প্রকাশ্য জায়গায় পর্নোগাফি দেখা বন্ধ করার কথা ভাবছে সুপ্রিম কোর্টও। বিষয়টি অপরাধ বলে গণ্য করা যায় কিনা, তা নিয়ে কেন্দ্রের মতামতও জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। যদিও কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, শিশু পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। কিন্তু, প্রাপ্তবয়ষ্কদের পর্নোগ্রাফি দেখা থেকে আটকানো সম্ভব নয়। কারণ, নাগরিকদের গোপনীয়তার অধিকার খর্ব হবে।
[মৃত সন্তানের বীর্যে জন্ম যমজের, দাদু-ঠাকুমা হওয়ার স্বপ্নপূরণ দম্পতির]