Advertisement
Advertisement

‘বিশ্বব্যাঙ্ক ঋণ দেয়নি, সর্দার সরোবর বাঁধে টাকা দিয়েছে গুজরাটের মন্দিরগুলি’

ভারতের নিজস্ব সামর্থ্যের উদযাপনে এ কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী।

World Bank snubbed, Gujarat temple fund Sardar Sarovar Dam
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 17, 2017 11:59 am
  • Updated:September 17, 2017 11:59 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ৫৬ আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ হয়নি। অবশেষে বাস্তবের আলো দেখল সর্দার সরোবর বাঁধ। নিজের জন্মদিনে এই বাঁধ উদ্বোধন করে দেশবাসীকেই তা উৎসর্গ করেছেন মোদি। জানালেন, বিশ্বব্যাঙ্কও ঋণ দিতে অস্বীকার করেছিল। কিন্তু গুজরাটের মন্দিরগুলি মুক্তহস্তে দান করেছিল এই প্রকল্পে।

জাপান, জার্মানিকে ছাপিয়ে অর্থনীতিতে তৃতীয় বৃহত্তম হওয়ায় এগিয়ে ভারতই  ]

Advertisement

নিজের জন্মদিন। সর্দার সরোবর বাঁধেরও জন্মদিন। মিশে গেল একটা দিনেই। সৌজন্যে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ১৯৬১ সালে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এই বাঁধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তারপর পদে পদে নানা প্রতিবন্ধকতা।  নর্মদা ভ্যালি ডেভলেপমেন্ট প্রজেক্টের অংশ ছিল এই বাঁধ। প্রধানমন্ত্রী জানান, এ নিয়ে এত কুৎসা, এত ভুল খবর ছড়ানো হয়েছে যে বিশ্ব ব্যাঙ্ক রাজি হয়েও শেষ মুহূর্তে ঋণ দিতে বেঁকে বসে। পরিবেশগত কারণে আপত্তি থাকায় নিমরাজি হয় বিশ্বব্যাঙ্ক। কিন্তু পিছিয়ে আসেনি ভারত। নিজের সামর্থ্যেই এই বাঁধ তৈরির কাজ সমাপ্ত করেছে। আর সে কাজে মুক্তহস্তে অনুদান এগিয়ে দিয়েছে গুজরাটের মন্দির কর্তৃপক্ষগুলি। আজ যখন বাঁধ উদ্বোধন হল, তখন ভারতের একক কৃতিত্ব বলেই তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পের সামনে কারা কারা বাধা হয়ে এসেছিলেন সে তালিকা তাঁর কাছে। কিন্তু সে কথা আজ তিনি বলতে চান না। বরং ভারত নিজস্ব সামর্থ্যের এই উদযাপন দেশবাসীকে উৎসর্গ করেছেন তিনি।

Advertisement

দূরপাল্লার যাত্রায় কতক্ষণ ঘুমাবেন, সময় বেধে দিল রেল ]

এই বাঁধের নামকরণ করা হয়েছে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নাম অনুসরণে। মোদি জানান, স্বাধীনতার পর যে সম্মান বল্লভভাইয়ের পাওয়ার কথা ছিল, যে কোনও কারণেই হোক তা তিনি পাননি। এই বাঁধের নামকরণে তাই তাঁকে সম্মান জানানো হল। এই বাঁধে পরিবেশের ক্ষতি হবে বলে আন্দোলন করেছিলেন মেধা পাটেকর। বিখ্যাত নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের জেরে বহুদিন এ কাজ থমকে ছিল। ইউপিএ সরকার আসার পরও অনুমোদন মেলেনি। যদিও মোদির আমলেই কাজে গতি আসে। এবং শেষমেশ প্রায় পাঁচ দশক পরে এই বাঁধ বাস্তবের আলো দেখল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ