সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের আগে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে দরিদ্র কৃষকদের ঋণ মকুব করা হবে। বিজেপি দায়িত্বে আসার সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই সেই প্রতিশ্রুতি রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নিজের রাজ্যের ২.১৫ কোটিরও বেশি কৃষকের ঋণ মকুব করে দিলেন তিনি।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কৃষকদের এই খুশির খবর জানানো হয়। শুধু তাই নয়, ৮ লক্ষ কৃষকের ৫,৬৩০ কোটি টাকার অব্যবহৃত সম্পদেরও (নন-পারফর্মিং অ্যাসেট) ঋণ মকুব করে দিল যোগী প্রশাসন। যার ফলে সরকারের কাঁধে অর্থের বড়সড় বোঝা চাপল। যে অঙ্ক ৩০ হাজার ৭২৯ কোটি টাকার কাছাকাছি।
যোগী সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ছোট ও দরিদ্র শ্রেণির কৃষকদের ঋণ মকুব করার জন্য ‘কিষাণ রাহাত বন্ড’টি চালু রাখা হবে। সেখান থেকে যে অর্থ সরকারের খাতে জমা পড়বে, তা দিয়েই মকুব করা লোন শোধ করা হবে। তবে ঋণ মাফ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করেছে সরকার। প্রথমত, ২০১৫-১৬ সালে যেসব ছোট বা দরিদ্র কৃষকরা লোন নিয়েছেন, তাঁরা এই স্কিমের আওতায় পড়বেন। দ্বিতীয়ত, যাঁরা কেন্দ্রীয় বা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়েছিলেন, তাঁরাই লোনের বোঝা থেকে মুক্তি পাবেন। অন্য কোনও জায়গা থেকে লোন নিলে এই সুবিধা মিলবে না। তৃতীয়ত, বীজ, শস্যদানা, কীটনাশকের মতো চাষাবাদের প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য যে সমস্ত চাষী ব্যাঙ্ক লোন নিয়েছিলেন, তাঁরাই এই ছাড় পাবেন। যাঁরা চাষের জন্য ট্রাক্টর বা কোনও মেশিন কেনার জন্য অর্থ নিয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই স্কিম প্রযোজ্য নয়।
সম্প্রতি, মোদি সরকারের কাছে কেন্দ্রীয় লোনের ব্যবস্থার আর্জি জানিয়েছিলেন আদিত্যনাথ। কিন্তু নিরপেক্ষ সিদ্ধান্তের কথা ভেবেই তাতে রাজি হননি অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ঋণ মকুবের পাশাপাশি মঙ্গলবারের বৈঠকে মোট ন’টি সিদ্ধান্ত নেন আদিত্যনাথ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.