সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের নির্মম পরিণতি। সন্দেশের বশে বিবাহিত প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করল প্রেমিক। অনুশোচনায় ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবকও। ২০ পাতার দীর্ঘ সুইসাইড নোটে খুনের কথা স্বীকার করে গিয়েছেন তিনি। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে।
[ক্লাসে বান্ধবীর সঙ্গে গল্প করায় বকুনি, পড়ুয়ার গুলিতে ঝাঁজরা শিক্ষক]
মৃত ওই যুবতীর নাম মণিকা। বয়স ২৮ বছর। দিল্লি লাগোয়া নিউ সালেমপুর এলাকায় স্বামী, দুই ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। গত ৯ মার্চ আচমকাই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মণিকা। তাঁর নামে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও হয়েছিল। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন আধার কার্ড করানোর জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মণিকা। আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। পূর্ব দিল্লির নিউ অশোকনগর এলাকার বাড়ি থেকে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহে পচন ধরেছিল। ময়নাতদন্তে জানা যায়, মণিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্ত চলাকালীন পুলিশের কাছে খবর আসে, ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। তাঁর নাম পবন। তিনিও দিল্লিরই বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে থেকে ২০ পাতার একটি দীর্ঘ সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। তদন্তকারীরা জানিয়েছে, সুইসাইড নোটে মণিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার স্বীকার করেছেন পবন।
[হোয়্যাটসঅ্যাপে ফাঁস সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির প্রশ্নপত্র, পরীক্ষা ঘিরে জটিলতা]
কিন্তু, পবনের সঙ্গে মণিকার সম্পর্ক কী? ওই যুবতীকে কেনই বা খুন করলেন পবন? তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পরকীয়া জড়িয়ে পড়েছিলেন বছর আঠাশের ওই যুবতী। তাঁর সঙ্গে পবনের বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। নিউ অশোকনগরের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন পবন। সেই বাড়িতেই গোপনে বিবাহিত প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতেন তিনি। সুইসাইড নোটে পবন জানিয়েছেন, কয়েক দিন ধরেই তাঁর সন্দেহ হচ্ছিল, মণিকা অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে মণিকার। এই নিয়ে ভাড়াবাড়িতে দু’জনের তুমুল বচসা হয়। রাগের মাথায় মণিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পবন। মৃতদেহ ঘরের ভিতর রেখে দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক। কিন্তু, প্রেমিকাকে খুন করার পর থেকে তীব্র অনুশোচনায় ভুগছিল পবন। শেষপর্যন্ত, ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে নিজেই আত্মহত্যা করে।
[৩২৪টি দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত তেজস নিতে রাজি বায়ুসেনা]