অর্ণব আইচ: দমদম জেলে হামলার ঘটনায় জড়িত একশো বন্দিকে শনাক্ত করল কারা দপ্তর। তারা প্রত্যেকেই বিচারাধীন বন্দি। এবার তাদের অন্য জেলে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
কারা সূত্রে জানা গিয়েছে, দমদম জেলে বন্দিরা হামলা চালানোর সময় জেলারের লকার থেকে টাকা, সোনা ও রুপোর গয়না, মোবাইল লুঠ হয়। বন্দিরা জেলে প্রবেশ করার আগে তাদের কাছে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে নেওয়া হয়। সেগুলি রাখা হয় জেলারের বিশেষ লকারে। ওইদিন হামলার সময় তাই লকারটিই বন্দিদের টার্গেট হয়ে ওঠে। লকারে হামলা চালিয়ে সেটি ভেঙে ফেলে বন্দিরা। এরপর ভিতর থেকে টাকা, সোনা ও রুপোর গয়না, মোবাইল নিয়ে নেয়। গোলমাল থেমে যাওয়ার পর পুলিশ ও কারারক্ষীরা যৌথভাবে জেলে তল্লাশি চালান। সেই সময় উদ্ধার হয় লুঠ হওয়া ২০০টি মোবাইল। বেশ কিছু গয়না। লুঠ হওয়া সোনার গয়না বাইরে পাচার হয়েছে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এদিন দমদম জেলের ভিতর সিআইডির একটি টিম ফের তদন্ত করতে যায়। জেলের কারারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বেলেঘাটা আইডিতে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার ব্রাজিল ফেরত যুবক, দিনভর ঘুরলেন হাসপাতালে]
এদিনও সিআইডি টিম জেলের ভিতর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, যে অস্ত্রটি জেলের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে, সেটি ৬ চেম্বারের রিভলভার। এটি পুলিশ বা কোনও বাহিনীর নয় বলেই দাবি পুলিশের। বন্দিদের হামলার জেরে জেলের যে গেটগুলি ভেঙে গিয়েছে, সেগুলি মেরামতি করার চেষ্টা চলছে। তাতে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বন্দিদেরও। সংঘর্ষের দিন ক্যান্টিন বা রান্নাঘর থেকে গ্যাস সিলিন্ডার এনে তা ফাটিয়ে আগুন ধরানো হয়েছিল। ফলে এখন রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের অভাব। বেশি পদ রান্নাও সম্ভব নয়। তাই এখন বন্দিদের সকালে চিঁড়ে ও চিনি, দুপুর এবং রাতে খিচুড়ি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কারা দপ্তর।