সন্দীপ চক্রবর্তী: আমফান বিপর্যয়ের পর ধীরে ধীরে সামলে উঠেছে রাজ্য। কিন্তু বিরোধীদের তোপ, আমফান দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য সরকার। এই নিয়ে বুধবার বিরোধীদের কটাক্ষের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বললেন, ‘আমফান বিপর্যয়ের পর রাজ্যকে স্বাভাবিক করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। সবটা না পারলেও ৯০ শতাংশ স্বাভাবিক করেছি।’ পাশাপাশি কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য নিয়েও মুখ খোলেন মমতা। বলেন, ‘কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ঘুরে দেখে গিয়েছে ক্ষয়ক্ষতি। মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে ওদের। বাকি টাকা কবে দেবে ওরাই জানে। ১০০০ কোটি টাকা অ্যাডভান্স দিয়েছিল মাত্র।’
রাজ্যে আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একাধিক জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। দেখা গিয়েছে, শাসকদলের নেতা-কর্মীদের নাম রয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায়। কয়েক জায়গায় তো পাকা বাড়ির মালিকের নামও রয়েছে তালিকায়। পঞ্চায়েত কর্মাধ্যক্ষ থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার পরিবারের লোকদের নাম তালিকায় উঠেছে কয়েক জায়গায়। এসব নিয়ে বিরোধীরাও কোমর বেঁধে সরকারকে প্যাঁচে ফেলতে ময়দানে নেমেছে। এই নিয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টত জানিয়েছেন, ‘রাজ্য সাড়ে ছহাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাঁচ লক্ষ মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠিয়ে দিয়েছে। কোথাও কাউকে তদ্বির করতে হবে না।’
[আরও পড়ুন: ‘একটা মিটিংয়ে না গেলে কি বাংলার ভবিষ্যৎ ঠিক হয়ে যাবে?’, মোদির বৈঠক নিয়ে পালটা মমতার]
কিন্তু ক্ষতিপূরণের টাকা পেতেও শাসকদলের নেতা-কর্মীরা কোথাও কোথাও তোলাবাজি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোথাও প্রকাশ্যে কাটমানি নেওয়ার ছবিও সামনে এসেছে। সে বিষয়ে সতর্ক করে মমতা বলেছেন, ‘কাউকে কোনও ফর্ম ফিলাপ, টাকা দিতে হবে না। ক্ষতিগ্রস্তরাই টাকা পাবেন। যদি কাউকে এসব করতে হয় তাহলে সরাসরি পুলিশ-প্রশাসনকে জানাবেন। আমি ডিজি পুলিশকে বলে দিচ্ছি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কে যেন বঞ্চিত না হয়। সে রেশন হোক বা আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা।’