সন্দীপ চক্রবর্তী: ‘একটা মিটিংয়ে গেলাম বা না গেলাম তাতে কি বাংলার ভবিষ্যৎ ঠিক হয়ে যাবে? বাংলাকে এত দুর্বল ভাবেন কেন? বাংলার মানুষ সম্মান নিয়ে বাঁচতে জানে। মাথা উঁচু করে চলতে জানে।’ দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) ডাকা ভিডিও কনফারেন্সে অন্য রাজ্যগুলিকে বলার সুযোগ দেওয়া হলেও বাংলাকে সুযোগ না দেওয়া নিয়ে বুধবার এমনই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সাংবাদিক সম্মেলনে নবান্ন সভাঘরে বসে তিনি রীতিমতো রেগে গিয়ে বললেন, ‘হয়তো তাঁরা প্রয়োজন মনে করেননি তাই ডাকেননি। তাই নিয়ে ঝগড়া করার কোনও কারণ নেই। এখন আমি মনে করি মানুষের স্বার্থে লড়াই করাটাই বড় কাজ।’
বুধবার দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় দফার বৈঠকের পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই দফায় আলোচনার তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যগুলি ছিল। তবে বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বক্তব্য রাখার জন্য সময় দেওয়া হয়নি। তাতে ক্ষুব্ধ নবান্ন। এই বিমাতৃসুলভ আচরণের জন্য কার্যত ক্ষুব্ধ হয়েই এদিনের বৈঠকে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদির ওই বৈঠকের সময়ই নবান্নে করোনা পরিস্থিতি আলোচনার জন্য রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বসেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ডাক্তারি পড়ুয়াদেরও কোভিড যোদ্ধার সমান সুযোগ-সুবিধা, বড় ঘোষণা মমতার]
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সেই না বলতে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে অসন্তুষ্ট হন মুখ্যমন্ত্রী। পরিষ্কার জানান, ‘এক কথা আমার বারবার বলতে ভাল লাগে না। আচ্ছা আপনারা বাংলাকে এত দুর্বল ভাবেন কেন বলুন তো? আমরা মাথা উঁচু করে চলি। রবীন্দ্রনাথের কবিতা মনে রাখবেন, চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির। আর বাংলা ডাক পায়নি তো কী হয়েছে, এমন তো হতেই পারে বাংলা একদিন সবাইকে ডাকবে। বাংলাকে নিয়ে গর্ববোধ করুন, নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করুন। নিজের যেটা আছে সেটা নিয়ে গর্ব করুন। কখনও নিজেকে দুর্বল ভাবেন না।’
[আরও পড়ুন: নবান্নে ফের করোনার থাবা, এবার আক্রান্ত এক ঠিকা সাফাইকর্মী]
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights
- দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ভিডিও কনফারেন্সে অন্য রাজ্যগুলিকে বলার সুযোগ দেওয়া হলেও বাংলাকে সুযোগ না দেওয়া নিয়ে বুধবার এমনই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
- এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সেই না বলতে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে অসন্তুষ্ট হন মুখ্যমন্ত্রী।
- এই বিমাতৃসুলভ আচরণের জন্য কার্যত ক্ষুব্ধ হয়েই এদিনের বৈঠকে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।