Advertisement
Advertisement

Breaking News

A baby Nursing home

কলকাতার চারটি বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরেও মেলেনি বেড, অসহ্য পেটের যন্ত্রণায় মৃত্যু শিশুর

এসএসকেএমে অস্ত্রোপচারের বন্দোবস্ত হলেও বাঁচানো গেল না শিশুকে।

A baby allegedly died due to negligence of four nursing home ।Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 30, 2020 1:02 pm
  • Updated:November 30, 2020 1:02 pm

অভিরূপ দাস: শহরের চারটি বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরেও মেলেনি বেড। চিকিৎসা তো দূরস্ত। রবিবার দুপুরে এসএসকেএম হাসপাতালে বেড মেলে। অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল সোমবার। তবে ব্যবস্থাপনাই সার। তার আগেই মৃত্যু হল সাড়ে আট বছর বয়সের শিশুর (Baby)। সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে ছেলে বেঁচে যেত বলেই দাবি তার মায়ের।

সাড়ে আট বছর বয়সি শেখ তানবীর হোসেন তলপেটে যন্ত্রণায় ভুগছিল। আচমকাই শুরু হয়েছিল খিঁচুনি। শরীরে ক্রমশ কমে যাচ্ছিল অক্সিজেনের মাত্রা। শনিবার দুপুরে তাই শিশুকে হাসপাতালে ভরতির সিদ্ধান্ত নেন তাঁর পরিজনেরা। সেইমতো প্রথমে বেলভিউ ক্লিনিক, সিএমআরআই, পার্ক ক্লিনিক এবং সবশেষে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে নিয়ে যান তাঁর পরিজনেরা। তবে কোনও জায়গাতেই মেলেনি বেড। প্রত্যেক নার্সিংহোমই শিশুকে ভরতি নেওয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে। তাই বাধ্য হয়ে এ নার্সিংহোম ও নার্সিংহোম ঘোরার পর রবিবার দুপুরে এসএসকেএম হাসপাতালে ছোট্ট তানবীরকে নিয়ে যান তাঁর পরিজনেরা। সেখানে মেলে বেড। শিশুকে সুস্থ করে তোলার জন্য তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচারের বন্দোবস্ত করা হয়। কথা ছিল সোমবারই হবে অস্ত্রোপচার। তবে তার আগে রবিবার মধ্যরাতেই সব শেষ। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে প্রাণ যায় শিশুর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘গুন্ডা’র জবাবে ‘খোকাবাবু’, ‘ভাইপো’র বদলে অভিষেককে নতুন নামে সম্বোধন দিলীপের]

ছেলের মৃত্যু মানতে পারছেন না শিশুর মা সাবিনা হোসেন। স্বভাবতই কেঁদে ভাসাচ্ছেন তিনি। বলেন, “নার্সিংহোমে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে সন্তান বেঁচে যেত।” একই সুর পরিবারের অন্যান্যদের গলাতেও। ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ কর্তৃপক্ষের দাবি, বেড না থাকায় শিশুকে ভরতি নেওয়া সত্যিই সম্ভব হয়নি। তবে ঘণ্টাখানেক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। এরপরই ওই নার্সিংহোমের তরফে শিশুকে শহরের যেকোনও হাসপাতালে ভরতির পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী এসএসকেএমে শিশুকে তাঁর পরিজনেরা নিয়ে যান। এ বিষয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার রঘুনাথ মিশ্র বলেন, “এখনও পর্যন্ত আমার কাছে শিশুদের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুর চিকিৎসা শুরু করেছি। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় তাকে বাঁচানো গেল না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া, বরাহনগরে ৬ দিন ধরে মা-বাবার দেহ আগলে রইলেন মেয়ে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ