Advertisement
Advertisement
শিশুমৃত্যু

চিকিৎসার ‘গাফিলতি’তে শিশুমৃত্যু, সাড়ে ৬ লাখের বিল না মেটালে দেহ দিতে আপত্তি হাসপাতালের

পরবর্তীতে চাপে পড়ে দেহ ছাড়ে হাসপাতাল।

A child died due to alleged negligence of Hospital in Kolkata
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 13, 2020 10:03 am
  • Updated:August 13, 2020 11:04 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের চিকিৎসার গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় কাঠগড়ায় কলকাতার (Kolkata) নামী বেসরকারি হাসপাতাল। খুদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিল না মেটানো হলে দেহ ছাড়বে না বলে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘক্ষণ বাকবিতণ্ডার পর পিছু হটতে বাধ্য হয় হাসপাতাল।

আনন্দপুর নোনাডাঙার বাসিন্দা কৌশিক ও নিশা চক্রবর্তী। জুন মাসে এলাকারই একটি নার্সিংহোমে পুত্রসন্তান হয় ওই দম্পতির। জানা গিয়েছে, জন্ম থেকেই খুদের হৃদযন্ত্রে ফুটো ছিল। সেই কারণে তাকে বাগুইআটির একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরিবারের কথায়, প্রথম থেকে শিশুটির সেভাবে কোনও চিকিৎসাই হয়নি। শুধু বিল বেড়েছে। হাসপাতালের এক কর্মী শুভজিৎ দে বলেছিলেন, ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হলে প্রচুর টাকা লাগবে। প্রথম দফায় ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকাও দেয় খুদের পরিবার। কিন্তু তারপরও শিশুটির সঠিক চিকিৎসা হয়নি বলেই অভিযোগ পরিবারের। আর একথা হাসপাতালে বলতেই সমস্যার সূত্রপাত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে হেনস্তা রুখতে ‘কোভিড নেগেটিভ’ সার্টিফিকেট দেবে কলকাতা পুরসভা]

অভিযোগ, পর্যাপ্ত চিকিৎসা হচ্ছে না, একথা বলতেই খুদের পরিবারকে ৬ লক্ষ ৪৪ হাজারের বিল ধরায় হাসপাতাল। টাকার জন্য চাপ দেওয়া হয়। বকেয়া শোধ না করলে ফল ভাল হবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয় শিশুটির পরিবারের সদস্যদের। এরপরই বুধবার সকালে খুদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয় পরিবারকে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্য হাসপাতালে যেতেই ফের তাঁদের কাছে বাকি টাকার দাবি জানায় কর্তৃপক্ষ। বকেয়া না মেটালে দেহ ছাড়া হবে না বলেও জানানো হয় বলেই অভিযোগ। এই নিয়ে অশান্তি বাধে দু’পক্ষের। পরে ২০ হাজার টাকা নিয়ে দেহ ছাড়ে হাসপাতাল। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কার্যত একই ঘটনা ঘটেছিল কলকাতায়। করোনা রোগীকে ভরতির টাকা নিয়ে দর কষাকষির মাঝে ডিসান হাসপাতালের সামনেই অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু হয় রোগীর। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভয় দেখিয়ে ডাক্তারি পড়ুয়াকে লাগাতার ‘ধর্ষণ’, কাঠগড়ায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ