Advertisement
Advertisement

Breaking News

NRS Hospital

টানা ৪ দিন এনআরএস হাসপাতালের লিফটে আটকে মহিলা! বিস্মিত স্বাস্থ্যকর্তারা

এক বোতল জল আর এক প্যাকেট চিঁড়ে সম্বল করে ৪ দিন কাটালেন মহিলা।

A female patient allegedly stuck into lift of NRS Hospital for 4 days | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 2, 2022 9:00 am
  • Updated:January 2, 2022 9:02 am

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: এমনটাও সম্ভব! হাসপাতালের আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে এসে টানা চার দিনের বেশি সময় লিফটে আটকে রইলেন এক বয়স্ক মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে নীল রতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (NRS Hospital)।

উত্তর ২৪ পরগনার বাদুরিয়া থানার পশ্চিম চণ্ডীপুরের বাসিন্দা আনোয়ারা বিবি। বয়স বছর ষাটের কোটায়। তিনি স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন। তাই সোমবার সকালে একাই ট্রেনে করে চলে আসেন শিয়ালদহ স্টেশন থেকে একটু দূরে নীল রতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে। টিকিট কেটে ডাক্তার দেখাবেন। ডাক্তার দেখানোর জন্য ছোট লিফটে উঠতেই মাঝপথে আটকে যান। ব্যস। সব বন্ধ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বছরের শুরুতেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন অভিনেতা মোহিত রায়না, দেখুন ছবি]

আনোয়ারা বিবির ছেলে আবুল হোসেন মণ্ডল শনিবার রাতে বলেছেন, “এক বোতল জল আরেকটা চিড়ের প্যাকেট নিয়ে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আমার মা লিফটের মধ্যে আটকে ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে কেউ একজন ফোন করে বলে মা হাসপাতালের ফাঁড়িতে আছেন। এসে নিয়ে যান।” আবুল হোসেনের কথায়, “এই ক’দিন সব জায়গায় খুঁজেছি। হাসপাতালের ফাঁড়িতে গিয়ে শুনি মা লিফটে আটকে ছিলেন। লিফটের মধ্যে এক বোতল জল আর চিড়ে খেয়েছেন। সেখানেই প্রস্রাব করেছেন। এমনটা কি করে হল বুঝতে পারছি না।”

শনিবার পশ্চিম চণ্ডীপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছেন আনোয়ারা বিবি। তবে প্রশ্ন উঠেছে, সোমবার দুপুর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত লিফটে আটকে থাকলেও কেন কেউ জানতে পারল না। এমনকী, একটা লিফট বিকল হয়ে রইল কিন্তু মেরামত হল না? এন আর এসের মতো ব্যস্ত একটি সরকারি হাসপাতালে এমনটা কী করে সম্ভব? হাসপাতালের সুপারকে দফায় দফায় ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চূড়ান্ত অব্যবস্থা! বৈষ্ণোদেবীতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে দায়ী পুণ্যার্থীদের]

তবে এমন ঘটনায় বিস্মিত রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা অজয় চক্রবর্তীও রীতিমতো বিস্মিত। তাঁর কথায়,”এন আর এসের মতো রীতিমতো ব্যস্ত হাসপাতালে লিফলে একজন আটকে রইলেন সোমবার দুপুর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কিন্তু কেউ জানতেও পারল না? এটা কী করে সম্ভব!” তাঁর কথায়,”সমস্ত ঘটনা জানতে হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকেও বিষয়টি জানানো হবে।”

আবুল হোসেন মন্ডলের কথায়, থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, সোমবার সকাল আটটা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছে যান তাঁর মা। লিফট খারাপ হয়ে যাওয়ায় আটকে যান। তবে মাকে খুঁজে পেয়ে আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাননি। সোজা বাড়ি চলে আসেন। কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাননি তার কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি আনোয়ারা বিবির ছেলের থেকে। তবে এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য ভবন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ