Advertisement
Advertisement

Breaking News

খুন

মাছ বাজারে বচসার জেরে রক্তারক্তি, খুনের পর ফ্রিজে দেহ লোপাট শ্রমিকের

মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

A man killed his freind in Howrah's fish market

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 28, 2019 5:30 pm
  • Updated:October 28, 2019 6:17 pm

অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: দুই শ্রমিকের বিবাদে হাওড়ার হোলসেল ফিশ মার্কেটে রক্তারক্তি কাণ্ড। এক শ্রমিককে ভারী অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করে দেহ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখার অভিযোগ। গোলাবাড়ি থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও দু-একজন ঘটনায় জড়িত থাকার সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।

হাওড়ার হোলসেল মাছ বাজারে কয়েক বছর ধরে শ্রমিকের কাজ করতেন ছোটন রাই এবং সুরেন্দ্র রাই। তাদের দু’জনের মধ্যে বচসা বাঁধে। অভিযোগ, সেই সময় ছোটনকে ভারী অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে সুরেন্দ্র। রক্তারক্তি কাণ্ড বাঁধে। কোনওক্রমে ছোটনকে উদ্ধার করে সুরেন্দ্র। ওই মাছবাজারের ফ্রিজের মধ্যে তার দেহ লুকিয়ে রাখে সে। সোমবার সকালে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় ফ্রিজে কারও দেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ওই ফ্রিজ থেকে ছোটনের কাঠের মতো শক্ত দেহ উদ্ধার করে। সুরেন্দ্রকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, প্রথমে খুনের কথা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে সুরেন্দ্র। পরে যদিও খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সে। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisement

এই ঘটনা সম্পর্কে আরও নানা তথ্যের আশায় ওই মাছের দোকানের মালিকের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। মালিক জানায়, হাওড়ার হোলসেল ফিশ মার্কেটের ৩১ নম্বর স্টলে প্রায় দু-তিন বছর ধরে কাজ করত সুরেন্দ্র। ছোটন এবং সুরেন্দ্র দু’জনেই বিহারের বাসিন্দা। তাদের দু’জনের আগে থেকেই আলাপ পরিচয় ছিল। মাছের দোকানের মালিক আরও জানান, গত শনিবারই ফ্রিজ পরিষ্কার করেছিলেন। সেই সময় ফ্রিজে মাছ ছাড়া কিছুই ছিল না। তাই রবিবারই ছোটনকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি তাঁর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তুবড়ি ফেটে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার বাজি বিক্রেতা ও প্রস্তুতকারক]

গোলাবাড়ি থানার ডিসি নর্থ বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে এই ঘটনায় একা সুরেন্দ্র নয়। আরও ২-১জন জড়িত রয়েছে। সুরেন্দ্রকে জেরা করে হয়তো বাকি তথ্য পাওয়া যাবে। নিহত এবং অভিযুক্ত দু’জনেই পূর্ব পরিচিত। তাই এই ঘটনার নেপথ্যে পুরনো শত্রুতার যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তদন্তের স্বার্থে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ