সুব্রত বিশ্বাস: এবার চিকিৎসাধীন এক যুবতীকে ভেন্টিলেশনে পাঠানোয় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল রেল হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে নাইসেডে। রিপোর্ট আসার পরই স্পষ্ট হবে গোটা ছবি। তবে ওই যুবতীকে ভেন্টিলেশনে পাঠানোর পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন চিকিৎসক -সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। কারণ, কোনওরকম সতর্কতা ছাড়াই রোগীদের পরিষেবা দিতে হচ্ছে তাঁদের।
জানা গিয়েছে, ম্যানেঞ্জাইটিসে আক্রান্ত ওই যুবতী সম্প্রতি ফিরেছেন পুণে থেকে। গত ২৩ মার্চ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ভরতি করা হয় বি আর সিং হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পাঠানো হয় ভেন্টিলেশনে। নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় নাইসেডে। হাসপাতালের এমডি জানিয়েছে, “মেয়েটি ম্যানেঞ্জাইটিস পেসেন্ট। গত ২৩ তারিখ ভরতি হয়েছিলেন। পরে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়। লালা পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে।” নমুনা পরীক্ষায় জন্য পাঠানোর পর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের কথায়, করোনা চিকিতসার ক্ষেত্রে যা যা সতর্কতা মেনে চলা উচিত তার কোনও কিছুই ওই হাসপাতালে নেই।
[আরও পড়ুন:রাজ্যে মৃত্যু করোনা আক্রান্ত আরেক ব্যক্তির, নার্সিংহোমে প্রাণ হারালেন বেলঘরিয়ার প্রবীণ]
এপ্রসঙ্গে রেলের ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, “রেলের হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হলেও নূন্যতম পরিকাঠামো নেই। সেখানে আক্রান্তকে রাখা মানে মৃত্যু নিশ্চিত। পরিকাঠামো ছাড়া হাসপাতাল, ট্রেনের কোচ আইসোলেশন করা হচ্ছে শুধুও লোক দেখানো, আর খরচ। এর জন্য রেলকর্মীরা জীবন বাজি রাখছেন। মানতে পারছেন না সমাজিক দূরত্ব।”