ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলায় ব্যর্থতার মুখ অধীর চৌধুরিকে পড়শি রাজ্য ত্রিপুরায় দলের প্রচার থেকেও দূরে রাখল কংগ্রেস নেতৃত্ব। বদলে এই বাংলার প্রতিনিধিদের মধ্যে রাখা হল দীপা দাশমুন্সি (Deepa Dashmunsi) ও পূজা রায়চৌধুরি এই দু’জনকে। পূজা বিধাননগর পুরনিগমের ভোটে দলের প্রার্থী ছিলেন।
আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরার ভোট। চারটি বিধানসভায় উপনির্বাচন। সেখানকার ভোট প্রচারে বুধবার প্রচারকদের তালিকা প্রকাশ করেছে এআইসিসি (AICC)। সেই তালিকা থেকে শুধু অধীরই নন, প্রচারে নেই বর্ষীয়ান দুই সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ও আবু হাসেম খান চৌধুরির নামও (ডালু)। সূত্রের খবর, আবু হাসেম খান চৌধুরিকে বয়সের কারণে বাদ রাখা হয়েছে। আর প্রদীপবাবুর সদ্য আত্মীয়বিয়োগ হয়েছে। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সেসব বাধা না থাকলেও তাঁকে ব্রাত্যই রাখা হয়েছে সেই তালিকা থেকে। এই পরিস্থিতিতে প্রদেশ নেতৃত্বের মধ্যে কোনও সফল নাম না থাকায় মহিলা মুখেই ভরসা রেখেছে এআইসিসি।
ত্রিপুরার উপনির্বাচনের তারকা প্রচারকদের ৩০ জনের যে তালিকা কংগ্রেস প্রকাশ করেছে, সেই ৩০ জনের মধ্যে রয়েছে শচীন পাইলট, কানহাইয়া কুমার, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, বিজেন্দ্র সিংয়ের মতো বড় নামও। তাছাড়া ত্রিপুরায় সদ্য সুদীপ রায়বর্মণ আশিস সাহার মতো নেতা কংগ্রেসে ফিরেছেন। তাঁদের নিজেদের আসন ধরে রাখার এই উপনির্বাচন রাজ্যে কংগ্রেসের অস্তিত্বের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং উপনির্বাচন বলে বড় নেতাদের পাঠানো হয়নি, সেই যুক্তিও খাটে না।
আসলে অধীরের উপর অন্ধভাবে ভরসা করে বাংলায় ভুগতে হয়েছে কংগ্রেসকে (Congress)। তাছাড়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির প্রবল তৃণমূল বিরোধী অবস্থান এআইসিসির পছন্দ নয় বলেও সূত্রের দাবি। তাই অধীরের ডানা ছাঁটার প্রক্রিয়া শুরু করেছে AICC।শোনা যাচ্ছে দ্রুত প্রদেশ সভাপতির পদ খোয়াতে পারেন তিনি। যদিও অধীর ঘনিষ্ঠদের দাবি, কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা নিজেই প্রদেশ সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.