সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর কলকাতার মুক্তারাম স্ট্রিট, চোরবাগানের ২০টি লেন সিল করল পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধ করেছে পুলিশ। গোটা এলাকায় মাত্র একটি এটিএম খোলা রয়েছে।বন্ধ সমস্ত দোকান। বুধবার দুপুর কলকাতা পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে গোটা এলাকা সিল করে দিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে মুক্তারাম স্ট্রিটের এক বৃদ্ধার বেসরকারি এক হাসপাতালে মৃত্যু হয়। তিনি সর্দি, কাশি, জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে শেষকৃত্য মেটার পরই গোটা পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এরপরই এদিন দুপুরে গোটা এলাকা সিল করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত দোকানপাট। ফলে আতঙ্কে ভুগছেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বাড়িতে প্রশাসন খাবার পৌঁছে দিয়ে যাবে কিনা, সে বিষয় কিছুই জানায়নি। কেন রাস্তা সিল করা হল, তাও কিছু জানানো হয়নি। এদিকে এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় বেরতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন এলাকাবাসী। কীভাবে তাঁদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আসবে, কীভাবে ওষুধ মিলবে সে সম্পর্কে ধোঁয়াশায় রয়েছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন : করোনা মোকাবিলায় উদ্যোগী প্রশাসন, কলকাতায় বসল ‘স্যানিটাইজার টানেল’]
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে নোভেল করোনা ভাইরাস। ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। মারণ জীবাণু প্রাণ কেড়েছে বিশ্বের লক্ষাধিক মানুষের। মার্কিন মুলুকে করোনার ভয়াবহতা চিন, ইটালিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। ভারতেও অব্যাহত করোনা ভাইরাসের দাপট। দেশে মৃতের সংখ্যা ৩৭৭। আক্রান্ত ১১,৪৩৯ জন। অ্যাকটিভ কেস ৯৭৫৬। সুস্থ হয়েছেন ১৩০৬ জন। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত বেড়ে ১২০। স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। পরিস্থিতি সামাল দিতে গোটা দেশে ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের সময়সীমা। স্পর্শকাতর এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সিল করার পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাটের পর পশ্চিমবঙ্গেও বাড়ির বাইরে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।