Advertisement
Advertisement

Breaking News

সরস্বতী পুজোর আগেই ফুলের বাজার অগ্নিমূল্য, চিন্তায় খুচরো ব্যবসায়ী

দরজায় কড়া নাড়ছে বিয়ের মরশুম।

Ahead of Saraswati Puja flower prices skyrocketing
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 13, 2018 1:54 pm
  • Updated:January 13, 2018 4:40 pm

সুব্রত বিশ্বাস: সরস্বতী পুজোর আগেই কলকাতার ফুলের বাজারে আকাশছোঁয়া দাম। দুদিন আগেও যে ফুলের পাইকারি মূল্য কিলো প্রতি ২০০ টাকা ছিল আজ সেই ফুলের কিলোপ্রতি মূল্য ৩৫০-রও বেশি। পাইকারি বাজারের এই ছবি দেখে বিয়ের মরশুমে মাথায় হাত পড়েছে খুচরো ফুল ব্যবসায়ীদের। সংক্রান্তি পেরোলেই বিয়ের মরশুম শুরু। ইতিমধ্যেই বহু বিয়েবাড়িতে ফুল দেওয়ার বরাত নিয়ে ফেলেছেন দোকানিরা। কিন্তু কোথা থেকে সেই ফুলের জোগান দেবেন জানেন না।

সামনে সরস্বতী পুজো থাকায় বাংলাজুড়ে সার্বিকভাবে ফুলের চাহিদা বেড়েছে। এমতাবস্থায় ফুল চলে যাচ্ছে ভিনরাজ্যে। বিহার ও মহারাষ্ট্রে যাচ্ছে ফুল। কলকাতা থেকে ফুল নিয়ে গিয়ে আগে থেকেই ঠাণ্ডাঘরে মজুত রাখছে ভিনরাজ্যের ব্যবসায়ীরা। এদিকে ফুলের জোগান কম থাকায় কলকাতার বাজার প্রায় খাঁ খাঁ করছে। তরতরিয়ে দাম বেড়েছে ফুলের। পাইকারি বাজারে দুদিন আগেও ৪৫টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছিল দোপাটি। আজ সেই দোপাটির কেজি ১৩০টাকা। গাঁদার কেজি ১০০  টাকা ছাড়িয়েছে। ২০টি লালা গাঁদার মালা কিনতে হলে পকেট থেকে কড়কড়ে ২০০টি টাকা খসাতে হবে। যদি ২০টি হলুদ গাঁদার মালা কিনতে চান, তাহলে আড়াইশো টাকা পকেটে রাখুন। কেজি প্রতি রজনীগন্ধা পাবেন ২৬০ টাকায়। ২০টি রজনীগন্ধার মালা কিনলে দাম পড়বে ৩৭০ টাকা। রজনীগন্ধার ২০টি স্টিকের দাম ৩০০ টাকা। অর্কিডের ১০টি স্টিক ৩৮০টাকা। ১০০টি ছোট গোলাপ পাওয়া যাচ্ছে ৮০ টাকায়।

Advertisement

[ব্যাঙ্ককর্মীদের বিয়ে করা যাবে না, আজব ফতোয়ার বিরোধিতায় কর্মীসংগঠন]

পাইকারি বাজারে মাত্র দুদিনেই ফুলের দাম ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। জগন্নাথ ঘাটে প্রতিদিন ৩ কুইন্টাল করে ফুল আসে। তবে এই দুদিনে এক ধাক্কায় ফুলের আমদানি দুই কুইন্টাল কমেছে। এখন এক কুইন্টাল করে ফুল আসছে বাজারে। দামও তেমন চড়া।

Advertisement

হঠাৎ করে ফুলের দাম বেড়ে যাওয়া ও জোগান কমে যাওয়ার জন্য বর্তমান আর্থিক পরিকাঠামোকেই দায়ী করেছে ফুল ব্যবসায়ীরা। এখন অন্যান্য সবজি চাষের মতো ফুল চাষেও খরচ বেড়েছে। ফুলের বীজ ছড়ানো থেকে শুরু করে খামখেয়ালি আবহাওয়ার হাত থেকে চারাগাছকে বাঁচিয়ে ফুল উৎপাদন যথেষ্ট পরিশ্রমসাধ্য।ফুলচাষীকে ভালোমত মজুরির পয়সা গুনতে হয়। এরপর উৎপাদিত ফুল বিক্রি করে আশানুরূপ লাভ না হলে চাষীরাই বিপাকে পড়ে। পরিস্থিতি বদলাতে ফুল ছেড়ে অন্য সবজি চাষে ঝুঁকেছে ফুলচাষীরা। যারফলে একচেটিয়া ফুলের জোগান কমেছে শহর কলকাতার ফুলবাজার গুলিতে। তালমিলিয়ে বেড়েছে দাম। এদিকে রাজ্যের পাঁশকুড়া, মেচেদা, খড়গপুর, রানাঘাট, দেউলটি, চিরাই, হাউড়, কোলাঘাট থেকে ফুলআসে কলকাতায়। তবে রেল যাত্রার স্বল্পদূরত্বে বুকিংয়ের কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই কলকাতায় ফুল নিয়ে আসার সময় সমস্যা এড়াতে মাঝেমধ্যেই ফুলব্যবসায়ীরা গাঁটের কড়ি গুণে উৎকোচ দেয় কর্তব্যরত টিটিকে। তবে লাভের থেকে লোকসানই বেশি হওয়ায় কলকাতা ছেড়ে বিহার ওড়িশায় ফুল রপ্তানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে চাষীরা। তাই মিথিলা ও গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসে চড়ে রাজ্যের ফুল পাড়ি দিচ্ছে ভিন রাজ্যে। কলকাতার ফুল বাজারের ভাঁড়ারে টান পড়ছে। ধীরে ধীরে বাঙালির সাজি হচ্ছে শূন্য।

[বাইক ব়্যালি বন্ধ, দিলীপ-মুকুল মতবিরোধে বিভ্রান্ত কর্মীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ