সুব্রত বিশ্বাস: ফের মুখ পড়ল রেলের। এবার হাওড়া স্টেশনের অফিস ক্যান্টিনেই মদের আসর বসিয়ে দিলেন টিকিট পরীক্ষকদের একাংশ। সে ছবিও যথারীতি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। বস্তুত, রেলের ক্যান্টিনে টিকিট পরীক্ষকদের মদ্যপানের ছবি পৌঁছে গিয়েছে খোদ রেলমন্ত্রী টুইট হ্যান্ডলেও!
[বড়সড় ফাটলের জেরে অবরুদ্ধ ভিআইপি রোড, যানজটে নাকাল নিত্যযাত্রীরা]
কিছুদিন আগেই অফিসে বসে এক রেলকর্মীর মদ্যপানে ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল হাওড়া স্টেশনের পার্সেল বিভাগের ইনচার্জকে। তাঁকে বদল করে দেওয়া হয়। কিন্তু, তাতেও হুঁশ ফেরেনি রেলকর্মীদের একাংশের! এবার হাওড়া স্টেশনেই টিকিট পরীক্ষকদের অফিস ক্যান্টিনে বসল মদের আসর। সূত্রের খবর, সেই ছবি আবার সোশ্যাল মিডিয়ার আপলোড করে দিয়েছেন গণেশ দে নামে এক টিকিট পরীক্ষকই। তিনি নিজেও মদের আসরে হাজির ছিলেন। ছবিটি ভাইরাল তো হয়েইছে, পৌঁছে গিয়েছে খোদ রেলমন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডেলেও! ছবিতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনে অফিস ক্যান্টিনে বসে জমিয়ে মদ্যপান করছেন টিকিট পরীক্ষক তন্ময় চক্রবর্তী-সহ আরও অনেকেই। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রেলকর্মীদের একাংশের আক্ষেপ, ছবিটি নজরে পড়লেও, অভিযুক্ত রেলকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেননি কর্মাশিয়াল বিভাগের কর্তারা। অভিযুক্ত টিকিট পরীক্ষক তন্ময় চক্রবর্তী আবার মেনস ইউনিয়নের ব্রাঞ্চ-২-র সাংগঠনিক সম্পাদক। ফলে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন রেল ইউনিয়নের কর্তারাও। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সূর্যেন্দ্রকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এই ধরনের কাজ সমর্থন করি না। ছবিতে যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্রাঞ্চকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” পূর্ব রেলের মেনস কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ শর্মার প্রতিক্রিয়া, “শ্রমিকের প্রতিনিধির এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। এটা ইউনিয়নের কাছে ও রেলকর্মীদের কাছে চরম লজ্জা।”
[পেট-পায়ুদ্বার-মহিলাদের যৌনাঙ্গ, ড্রাগ পাচারের নয়া ছকে ধাঁধায় গোয়েন্দারা]
রেল সূত্রে খবর, ছবিতে যে ক্যান্টিনে বসে টিকিট পরীক্ষকদের মদ্যপান করতে দেখা গিয়েছে, সেই ক্যান্টিনটি টিকিট পরীক্ষকদের খাওয়া-দাওয়ার সুবিধার জন্য তৈরি করেছে রেল। অথচ সেখানে টিকিট পরীক্ষকরা মদের আসর বসানোর রীতিমতো ক্ষুদ্ধ রেলকর্তারা। কর্মাশিয়াল বিভাগের কর্তাদের আক্ষেপ, টিকিট পরীক্ষকরা ‘ফার্স্ট ফেস অব রেল’। সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে রেলের জনসংযোগ রক্ষার দায়িত্বটা তাঁদেরই। তাই অফিস ক্যান্টিনে এভাবে মদের আসর বসানো বেআইনিই শুধু নয় অনৈতিকও বটে।
[প্রোমোটিং বিবাদে ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন, চাঞ্চল্য কড়েয়ায়]