Advertisement
Advertisement

Breaking News

শপিং মলে বিউটি মালিকের রুদ্রমূর্তি, অবাক মধ্যমগ্রাম

সিসিটিভি ফুটেজে দেখুন ঠিক কী হয়েছিল?

Amitava Malik’s wife Beauty in ‘brawl’ with shopping mall staff
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 5, 2018 2:25 pm
  • Updated:January 5, 2018 4:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের বছরও ঘোরেনি। তার আগেই উত্তপ্ত পাহাড় কেড়ে নিয়েছিল স্বামী অমিতাভ মালিকের প্রাণ। কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন শহিদ সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভর স্ত্রী বিউটি মালিক। তারপর অনকেগুলো দিন কেটে গিয়েছে। পরিবর্তন এসেছে বিউটির জীবনেও। স্বামীর চাকরি পাওয়ার পর বউমা আর বাড়ি আসেন না। সরকার থেকে প্রাপ্ত অর্থও পরিবারকে দেননি। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের গলায় এমনই আক্ষেপ শোনা গিয়েছিল। ফের বিতর্কে জড়ালো শহিদ পত্নীর নাম। বছর শেষে শপিং মলে বচসায় জড়ালেন তিনি।

[দেখাশোনায় বিরক্তি, মাকে বারান্দা থেকে নিচে ফেলে দিল অধ্যাপক ছেলে]

ঘটনা গত ৩০ ডিসেম্বর। দুই আত্মীয়র সঙ্গে মধ্যমগ্রাম পুরসভার কাছের একটি শপিং মলে গিয়েছিলেন বিউটি। যাঁর মধ্যে একজন ছিলেন অমিতাভর ছোটবেলার শিক্ষক। বিউটির পরনে ছিল একটি কালচে মেরুন রঙের জ্যাকেট। আর এই জ্যাকেট ঘিরেই ঘরে যত কাণ্ড। বিউটির জ্যাকেটটি আগে কেনা হলেও তাতে সিকিউরিটি ট্যাগ খোলা ছিল না। তাতেই ঘটে বিপত্তি। শপিং করে বেরনোর সময় থেপ্ট ডিটেক্টর মেশিনে অ্যালার্ম বেজে ওঠে। কোনও ক্রেতা যাতে নতুন জিনিস লুকিয়ে না নিয়ে যেতে পারেন, তার জন্যই এই ডিভাইটির ব্যবহার হয়। আর অ্যালার্ম বেজে ওঠায় বিউটির দিকে ছুটে আসেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁকে জ্যাকেটটি খুলতে বলা হয় ও ব্যাগ চেকিংয়ের জন্য ডাকা হয়। মল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন প্রয়াত অমিতাভর স্ত্রী। স্টোর ম্যানেজার বীরেন্দ্র মিশ্র জানান, বেরনোর গেটে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটকালে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন বিউটি। রীতিমতো মারমুখী হয়ে ওঠেন তিনি। বিউটি ও তাঁর দুই আত্মীয়ই নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। স্টোর ম্যানেজারের কথায়, “বিউটি মালিককে আটকানোয় তিনি চিৎকার করে শাসাতে থাকেন কর্মীদের। প্রশ্ন করেন কেন তাঁকে আটকানো হল। বলেন, তুমি জানো না আমি কী করতে পারি। এমনকী পুলিশ দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দেন।” গোটা বিষয়টি মলের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেই সময় সেখানে যে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল, তা সেই ফুটেজে বেশ স্পষ্ট।

Advertisement

[ডাক্তারিতে ভরতির নামে প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস সল্টলেকে, ধৃত ৬ পড়ুয়া]

তবে বিউটিকে ফোনে যোগাযোগ করলে ঘটনার অন্য এক মোড় সামনে আসে। মধ্যমগ্রামের বধূ বলছেন, “থেপ্ট ডিটেক্টর মেশিনে অ্যালার্ম বাজা মাত্র এক নিরাপত্তাকর্মী আমার হাত ধরে টানেন। এবং আমাকে জ্যাকেট খুলতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি তার প্রতিবাদ করি। বলি, মুখেও তো অনুরোধ করা যেত। কেন আমার হাত ধরে টানা হল। তাছাড়া তাঁদের কাছে কোনও প্রমাণ নেই যে জ্যাকেটটি আমি তখনই সেখান থেকে কিনেছিলাম। তাই আমি বলি আগে প্রমাণ করুন যার জন্য আমাকে আটকানো হল, সেই অভিযোগ সত্যি কিনা।” বিউটির আত্মীয়র গলাতেও শোনা যায় একই কথা। তাঁর দাবি, শপিং মল কর্তৃপক্ষই তাঁদের সঙ্গে অভব্যতা করেছিলেন। তাঁরা প্রতিবাদ করেছেন মাত্র। শেষমেশ অবশ্য মল কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে যে, জ্যাকেটটি সেখান থেকে কেনা নয়। বিউটি শুধু সিকিউরিটি ট্যাগটি খুলতে ভুলে গিয়েছিলেন।

Advertisement

যে বিউটির বুকফাটা কান্নায় গোটা বাংলা চোখের জল ফেলেছিল। অমিতাভপত্নীর এহেন আচরণ অনেকেই যেন মানতে পারছেন না। স্বামীর পথে এগোনোর কথা বিউটি বারবার বললেও নতুন জীবনে বিউটির থেকে কি আরও একটা ধৈর্য, শৃঙ্খলা আশা করা যেত না? এই প্রশ্নের সঙ্গে আক্ষেপ ঘুরছে মধ্যমগ্রামবাসীর মনে।

এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখে নিন ভিডিও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ