সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাপে পড়ে অভিযুক্ত ইউনিট হেডকে বরখাস্ত করেছে আমরি মুকুন্দপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবুও কান্না থামেনি মৃত শিশু ঐত্রীর মা শম্পা দে-র। সুবিচারের দাবিতে শনিবার পথে প্রতিবাদে নামল দে পরিবার। এদিন হাসপাতালের সামনে অবস্থানে বসেন শম্পা-সহ অন্যান্য পরিজনরা। তার আগে ঐত্রীর ছবি-সহ ফ্লেক্স, মোমবাতি জ্বালিয়ে হাতে কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটেন তাঁরা। পরিজনরা ছাড়াও বহু শুভানুধ্যায়ীরাও পা মেলান তাঁদের সঙ্গে। ফ্লেক্সে আড়াই বছরের ফুটফুটে শিশু ঐত্রীর ছবি আর লেখা, ‘I am Oyetri Dey, I want JUSTICE’। সন্তানহারা মায়ের নাছোড়া লড়াইয়ে কার্যত পিছু হঠল আমরি কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদস্থলে এসে দে পরিবারের কাছে হাতজোর করে ক্ষমা চেয়ে নেন হাসপাতালের আধিকারিকরা। একইসঙ্গে মৃতার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তর কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়। মৃত ঐত্রীর পরিবারের প্রতি সহানুভূতি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ৭ দিনের মধ্যে তদন্তের ফলাফল মেলার আশ্বাস দিয়েছে তারা।
[ঐত্রীর পরিবারকে শাসানির জের, বরখাস্ত আমরি মুকুন্দপুরের ইউনিট হেড জয়ন্তী]
প্রসঙ্গত, শুক্রবার মৃত শিশুর পরিবারকে শাসানির জেরে বরখাস্ত করা হয় আমরি মুকুন্দপুরের ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়। বুধবার ভুল চিকিৎসায় আড়াই বছরের শিশু ঐত্রী দে-র মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় পরিবার। তখন ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। এমনকী সংবাদমাধ্যমের সামনে মৃত শিশুর পরিবারকে শাসানিও দেন জয়ন্তী। তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে পূর্ব যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করে দে পরিবার। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জয়ন্তী অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠায় বলে জানা যায়। কিন্তু শুক্রবারই ২ আমরি কর্তা যথাক্রমে সিইও রূপক বড়ুয়া ও ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়ের বরখাস্তের দাবিতে হাসপাতালের সামনে আমরণ অনশনে বসার হুমকি দেন ঐত্রীর মা শম্পা দে। তারপরই কার্যত চাপে পড়ে জয়ন্তীকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।