Advertisement
Advertisement

Breaking News

Garfa

মদ্যপ যুবকদের হামলায় গড়ফায় প্রতিবাদী বৃদ্ধের মৃত্যু, ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা

অভিযু্ক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

An elderly man beaten to death in Garfa area | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 30, 2020 8:59 am
  • Updated:October 30, 2020 8:59 am

অর্ণব আইচ: ষষ্ঠীর (Durga Puja 2020) রাতে সামান্য অশান্তির জেরে এক বৃদ্ধ ও তাঁর পরিবারের ৬ সদস্যকে মারধর করেছিল বেশ কয়েকজন মদ্যপ যুবক। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল আহতদের। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাসপাতালে মৃত্যু হল আক্রান্ত এক বৃদ্ধের। এই খবর এলাকায় পৌঁছতেই বৃহস্পতিবার রাতে ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গড়ফা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামতে হয় পুলিশকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন গড়ফার মণ্ডলপাড়ায় একটি নির্জন জায়গায় মদ্যপানের আসর বসেছিল। সেখানে বহিরাগত কিছু যুবকও আসে বলে অভিযোগ। পুজোর মুখে সেই আড্ডায় যোগ দেয় ওই এলাকার এক কিশোর। সেই খবর পেয়ে ওই নাবালকের মামা আকাশ বাহাদুর ভাগ্নেকে জোর করে সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু মদ্যপ বাকি যুবকরা বাধা দেয়। তখনই প্রতিবাদ করে উঠেছিলেন ধর্মেন্দ্র মণ্ডল-সহ এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। তখনকার মত ঝামেলা মিটেও যায়। এরপর ষষ্ঠীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র মণ্ডল। রাত এগারোটা নাগাদ মণ্ডলপাড়ার কাছাকাছি তাঁর পথ আটকায় কয়েকজন মদ্যপ ও মাদকাসক্ত যুবক। শুরু হয় বচসা। তারা আচমকা ধর্মেন্দ্রকে মারতে শুরু করেন। সঙ্গে ছিলেন ধর্মেন্দ্রর বন্ধু ও আত্মীয়রা। তাঁরা স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যদের ফোন করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ছুটে যান এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ কানাই নস্কর। তিনি ধর্মেন্দ্রর পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন। প্রতিবাদ করায় কানাইবাবুর উপর হামলা চালায় কয়েকজন যুবক। খবর পেয়ে ওই বৃদ্ধের পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘মানুষ খুনে জড়িত পুলিশদের আগামীতে আর চাকরি করতে হবে না’, হুঁশিয়ারি রাজুর]

আহতদের ষষ্ঠীর রাতেই এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কানাইবাবুর আঘাত ছিল গুরুতর। যদিও চিকিৎসার পর হাসপাতাল তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ফের অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন তিনি। সন্ধেয় বাড়ির লোকেরা তাঁকে ফের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীনই কানাইবাবুর মৃত্যু হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভে পড়েন স্থানীয়রা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরই এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হলেও পুজোর সময় ঘটনার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও এবার পরিবর্তন হবে ধারা। অভিযুক্তদের সন্ধানে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের বাংলায় একদিনে করোনা পজিটিভ প্রায় ৪ হাজার, আক্রান্তের চেয়ে বেশি কোভিডজয়ীর সংখ্যা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ