সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হলেন ২৭ বছরের তরুণী। দিল্লি কিংবা উত্তরপ্রদেশ নয়, এ ঘটনা ঘটেছে খাস কলকাতার তারাতলা এলাকায়। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ছয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে তিনজন নাবালক।
[তরুণীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা, ধৃত ইঞ্জিনিয়ার]
আদতে বাগুইআটির বাসিন্দা ওই তরুণী। পোর্ট ট্রাস্টের কোয়ার্টারে নিজের আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ। স্থানীয় এক দোকানে মাংস কিনতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। সেই দোকানেই কাজ করত এক অভিযুক্ত। নিজের সঙ্গে ওই তরুণীকে যেতে বলে সে। কোয়ার্টার এলাকারই এক পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে বাকিরাও চলে আসে। সকলে মিলে তরুণীকে ধর্ষণ করে। আর এই নারকীয় ঘটনার ছবি ও ভিডিও তুলে রাখা হয়। বাঁচার জন্য তরুণী চিৎকারও করেন। কিন্তু পরিত্যক্ত বাড়ির দেওয়াল ভেদ করে সে আওয়াজ বাইরে পৌঁছায়নি। পরে তরুণীকে হুমকি দেওয়া হয়, এ বিষয়ে যেন তিনি কাউকে কিছু না বলেন। যদি বলেন, তাহলে ছবি ও ভিডিওগুলি প্রকাশ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
[রুট বাতিলে রেলের চিঠি প্রত্যাহারের দাবি তৃণমূলের, আন্দোলনের হুঁশিয়ারি]
কিন্তু অত্যাচার মেনে নেননি তরুণী। আত্মীয়র বাড়ি পৌঁছে পুরো বিষয়টি জানান। তারাতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ছয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে তিনজন নাবালক। একজনের বয়স পনেরো। সে সি.পি.টি. কলোনি মার্কেট এলাকার বাসিন্দা। দুই নাবালকের বয়স ১৭। তারা যথাক্রমে মহেশতলা ও পোর্ট ট্রাস্টের মজদুর এলাকার বাসিন্দা। বাকি তিন অভিযুক্তের নাম সুমিত সিং (২৩), অভিষেক কুমার(১৮) ও প্রদীপ কুমার চৌধুরী(১৯)। ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই ৩৭৬ডি ধারায় গণধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
[পিছু হটল আমরি, ঐত্রীর পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ]