Advertisement
Advertisement
ATM Fraud in Kolkata

ATM জালিয়াতিতে জড়িত ভিন রাজ্যের গ্যাং! পুলিশের হাতে তিন সন্দেহভাজনের ছবি

সন্দেহভাজনদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। 

ATM fraud: interstate gang active in West Bengal | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:May 31, 2021 2:32 pm
  • Updated:May 31, 2021 2:32 pm

অর্ণব আইচ: শহর কলকাতায় (Kolkata) ফের সক্রিয় এটিএম জালিয়াতি চক্র। এটিএম মেশিন অটুট, কোথাও কোনও আঁচড়ের দাগ নেই। অথচ এটিএম যন্ত্রের ভিতর থেকে রহস্যজনকভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও। সম্প্রতি কাশীপুর, নিউমার্কেট, যাদবপুর-সহ কয়েকটি এলাকায় ব্যাংকের এটিএম থেকে এভাবেই লক্ষাধিক টাকা গায়েবের ঘটনা ঘটেছিল। আর এই ঘটনায় সন্দেহের তির ভিনরাজ্যের গ্যাংয়ের দিকেই। পুলিশের অনুমান, অপরাধীরা দিল্লি বা সেই সংলগ্ন ফরিদাবাদ কিংবা গাজিয়াবাদের। ইতিমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে তিন সন্দেহভাজনের ছবিও হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের।

এটিএম মেশিন ভাঙচুর নয়, জাল এটিএম কার্ড প্রবেশও করানো হয়নি। তাহলে কীভাবে চুরি? শনিবার জানতে এরপরই তদন্তে নামেন লালবাজারের (Lalbazar) গোয়েন্দারা। আর তাতেই উঠে এসেছে একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য। চুরির পদ্ধতি আগেই বুঝতে পারলেও, কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। তা জানতেই যে এটিএমগুলিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে, সেগুলির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। তাতেই সামনে আসে তিন সন্দেহভাজনের ছবি। দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেকের মুখ মাস্কে ঢাকা। ফলে ছবি দেখে চেনার উপায় নেই। তবে তাঁরা যে ভারতীয়, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই পুলিশের। আর সেখান থেকেই আধিকারিকদের সন্দেহ গ্যাংটি দিল্লি, ফরিদাবাদ কিংবা গাজিয়াবাদের। আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, ১৮, ১৯, ২২ তারিখ কাশীপুর, যাদবপুর, নিউমার্কেটের এটিএমে চুরি করে জালিয়াতরা। এর মধ্যে কাশীপুরে তারা ‘অপারেশন’ চালায় সকাল ১১টা ৩০ থেকে ১২ টা ৩০ পর্যন্ত। আর যাদবপুর-নিউমার্কেটে রাতের দিকে চুরির ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজ্যে COPD’তে আক্রান্ত ৫০ লক্ষ, অবিলম্বে ধূমপান ছাড়তে বলছেন ফুসফুসরোগ বিশেষজ্ঞরা]

তবে গোয়েন্দারা নিশ্চিত যে, একেবারে এত টাকা একসঙ্গে তোলা হয়নি। একেকবার ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা তোলা হচ্ছে। গত ১৯ মে কাশীপুরের বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম থেকে সাত লাখ টাকা তুলতে জালিয়াতদের সময় লেগেছিল ৪১ মিনিট। অন্য এটিএমের ক্ষেত্রে লেগেছিল আরও বেশি সময়। কঠোর নিষেধাজ্ঞায় রাস্তা ফাঁকা থাকায় নিরাপত্তারক্ষী বিহীন এটিএম কাউন্টারে অপরাধ ঘটাতে জালিয়াতদের সুবিধা হয়। এর আগে দিল্লি বা গাজিয়াবাদেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। দিল্লির গাজিয়াবাদে মুখ ঢেকে এটিএমে ঢুকে এক দুষ্কৃতী বিকেল পৌনে তিনটে থেকে সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত ‘অভিযান’ চালিয়ে ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়েছিল এক জালিয়াত। তবে তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, ভিন রাজ্যের ওই ঘটনাগুলিতে এটিএমে চুরি করতে একজন ঢুকলেও, কলকাতার এই চুরির ঘটনায় একসঙ্গে বেশ দু-তিনজন এটিএম কাউন্টারে ঢুকেছিল। বারংবার বাইরে বেরতে যাতে না হয়, সেজন্য আবার পাহারাতেও ছিল একজন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় উদ্বেগ প্রকাশ, ৩ সদস্যের কমিটি গঠন কলকাতা হাই কোর্টের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ