সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কি শহরে হানা দিল নীল তিমি? সাউথ পয়েন্টের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সৃজন চৌধুরির আত্মহত্যার ঘটনায় ফের এই তত্ত্ব উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি একটি ভূতের সিনেমা দেখে এসে কেমন যেন বদলে গিয়েছিল সৃজন, বলছেন তার মা। মোবাইল নিয়ে সারাক্ষণ ঘরে বসে থাকত, কারণে-অকারণে মিথ্যা বলত। আর তারপর? ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। ছেলের মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। সন্তানের সাম্প্রতিক পরিবর্তনের কথা বলতে বলতে মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছিলেন।
[দিল্লিতে কলকাতা পুলিশের জালে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কর্ণধার]
কী বলছেন ওই ছাত্রের মা? তিনি বলছেন, সৃজনের মোবাইল-প্রীতি অতিরিক্ত মাত্র বেড়ে গিয়েছিল। তাঁর মোবাইলে ইন্টারনেট ছিল না। বাড়িতেও কেউ ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন না। কিন্তু সৃজনের মোবাইলে কোথা থেকে ইন্টারনেট কানেকশন এল, সেটাই বুঝতে পারছেন না তার অভিভাবকরা। সম্প্রতি ছেলে একটি ভূতের সিনেমা দেখতে যাবে বলে বায়না ধরেছিল। কিন্তু মায়ের অনুমতি না মেলায় শেষ পর্যন্ত স্কুলের এক বন্ধুর সঙ্গে স্কুল কামাই করে ভূতের সিনেমাটি দেখতে যায় সৃজন। আর তারপর থেকেই ছেলের আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তার মা।
সিনেমা দেখে আসার পর থেকেই মা’কে কিছু অসংলগ্ন কথা বলে সৃজন। মা’কে জানায়, ওই সিনেমা যারাই দেখেছে, তাদেরই নাকি মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সৃজনকে তার মোবাইল বেশ কিছুক্ষণ ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। আর তারপর এদিন তার ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সাউথ পয়েন্টের ওই ছাত্র কি তবে ‘ব্লু হোয়েল’ মারণ গেমের শিকার? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? তদন্তে নেমে এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। তবে বাড়ির সন্তানের মৃত্যুতে কালীঘাটের ওই পরিবারে এখন নেমে এসেছে শোকের ছায়া।