Advertisement
Advertisement

কর্তৃপক্ষর উদাসীনতায় বি গার্ডেনে মরছে গাছ-গাছালি!

আকর্ষণীয় এই বাগান এখন আগাছা আর জঙ্গলে ভর্তি৷ বাগানে খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে৷ নেই নিরাপত্তা৷ পানীয় জল এতটাই দূষিত যে গাছও মারা যাচ্ছে এই জলের বিষে৷

B Garden lost it's heritage due to negligence of Authority
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 19, 2016 1:06 pm
  • Updated:June 19, 2016 1:06 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’- বিশ্বজুড়ে এই প্রচার কৌশলকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে হাওড়ার বি গার্ডেন৷ গাছ-গাছালির গবেষণাগার বলে এশিয়ার মধ্যে পরিচিত আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন আজ গাছহীন হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ তুলল তৃণমূল পরিচালিত কর্মী সংগঠন৷ বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আইএনটিটিইউসি-র নেতৃত্বরা এক বৈঠকের পর জানিয়েছেন, নামেই ঐতিহ্যবাহী, আদপে গাছ-গাছালি মরে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষর উদাসীনতায়৷ দুর্লভ সব গাছের মৃত্যু হচ্ছে৷ জন্ম নিচ্ছে আগাছা৷ আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি অরূপেশ ভট্টাচার্য বলেন, ২৭৩ একরের উপর জমিতে ১৭৮৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল এই গার্ডেন৷ উদ্দেশ্য ছিল, গাছের উপর নানা ধরনের গবেষণা, ঔষধি তৈরিতে প্রয়োজনীয়তা, উদ্ভিদ বিদ্যার বিকাশের যাবতীয় বিষয়ের পাশাপাশি নান্দনিক ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় করে তোলা৷ ক্রমে তা আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রাচীন বটগাছ৷ নানান ধরনের অর্কিড, বাঁশের নানা প্রজাতি ও ক্রিউ পাইন জেনাসের আকর্ষণে মানুষজন ভিড় জমাতে শুরু করে৷ এশিয়ার মধ্যে আকর্ষণীয় এই বাগান এখন আগাছা আর জঙ্গলে ভর্তি৷ বাগানে খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে৷ নেই নিরাপত্তা৷ পানীয় জল এতটাই দূষিত যে গাছও মারা যাচ্ছে এই জলের বিষে৷

সংগঠনের মূল অভিযোগ, গাছের রক্ষণাবেক্ষণ সামলাতেন ৮০ জন ঠিকা শ্রমিক৷ তৃণমূলের সমর্থক এই শ্রমিকদের প্রায় তিন বছর ধরে বসিয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষ বলে সংগঠনের অভিযোগ৷ ফলে রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না৷ মারা যাচ্ছে দুর্লভ সব গাছ, চারিদিক আগাছায় ঢেকে যাচ্ছে৷ বাগানে ২৪টি লেক রয়েছে৷ এক সময়ে নান্দনিকতার পাশাপাশি সেখানে মাছেরা জলকেলি করত৷ এখন শুধুই জঙ্গল আর দামে ঢেকেছে এই লেকগুলি বলে শ্রমিকদের অভিযোগ৷ বি গার্ডেনের জয়েণ্ট ডিরেক্টর রবীন্দ্রনাথ প্রমাণিক বলেন, নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে৷ তবুও যেটুকু সম্ভব হচ্ছে, ততটুকু মেটানোর চেষ্টা চলছে৷ তবে টাকার অভাবে সমস্যাটা বাড়ছে৷ কেন্দ্রে এনভায়রনমেণ্ট অ্যান্ড ফরেস্ট বিভাগের আওতায় এই গার্ডেন পর্যাপ্ত টাকা পায় বলে অরূপেশের দাবি৷ তবে তা খরচ ঠিকমতো হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন৷

Advertisement

শ্রমিকদের অভিযোগ, বাগানের মধ্যে রয়েছে গবেষণা কেন্দ্র, লাইব্রেরি প্রভৃতি৷ এখন শুধুই শূন্যতা৷ এমনকী হেরিটেজ বিল্ডিং-এ বিদেশি সাহায্য পাওয়ার কথা থাকলেও আজও তা মেলেনি শুধুই কর্তৃপক্ষর উদাসীনতায় বলে অভিযোগ৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement